নন্দীগ্রামে গোপন মাওবাদী-বৈঠক সংক্রান্ত মামলার সূত্রে দেবলীনা চক্রবর্তী, অভিজ্ঞান সরকারকে নিয়ে নন্দীগ্রামে তদন্ত চালাল হলদিয়া পুলিশ। নন্দীগ্রামে গতিবিধির প্রশ্নে দেবলীনাদের শনাক্তও করানো হল সোনাচূড়ার এক বাসিন্দাকে দিয়ে। নন্দীগ্রাম থানায় নিয়ে গিয়েও জেরা করা হয় কলকাতার নোনাডাঙায় বস্তি উচ্ছেদ-বিরোধী আন্দোলন-মঞ্চ থেকে ধৃত এই যুবক-যুবতীকে।
পুলিশি সূত্রের দাবি, জেরায় এবং স্থানীয় মানুষের সাক্ষ্যে ২০০৭-এর সেই জমিরক্ষার আন্দোলন-পর্ব থেকেই এই দু’জনের নন্দীগ্রামে আসা-যাওয়া ছিল বলে জানা গিয়েছে। নন্দীগ্রামের জমি-আন্দোলনে মাওবাদী যোগসাজশ নিয়ে আগের বাম-সরকারের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এখন রাজ্যে তাঁদেরই সরকার। এই অবস্থায় দেবলীনাদের ‘সাক্ষ্য’ অস্বস্তিকর হতে পারে বলে একান্তে মানছেন জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতাও। হলদিয়া পুলিশের দাবি, ২০১১-র ১৮ নভেম্বর নন্দীগ্রামের গাংড়ায় মাওবাদীদের এক গোপন-বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেবলীনা ও অভিজ্ঞান। জনৈক সঞ্জয় দাসের বাড়িতে ওই বৈঠক চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে দু’জনকে ধরে। তদন্তে অভিজ্ঞান, দেবলীনা চক্রবর্তী-সহ মাওবাদী সংগঠনের আরও কিছু নাম পাওয়া যায় বলে পুলিশের দাবি। ২০০৯-এর ২২ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নিশিকান্ত মণ্ডলের হত্যাকাণ্ডেও মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপক, মধুসূদন মণ্ডলের সঙ্গে অভিজ্ঞান-দেবলীনারা অভিযুক্ত বলে পুলিশের দাবি। |