|
|
|
|
ডিজেলে বিনিয়ন্ত্রণ, সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি মানছে কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সংস্কারমুখী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নীতিগত ভাবে নিয়েও মনমোহন-সরকার যে তা রূপায়ণ করতে পারছে না, ফের প্রমাণ মিলল তার।
সংসদে আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোলের মতো ডিজেলের দামও সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আমজনতার উপরে বোঝা বাড়ার কথা মাথায় রেখে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি।
রাজ্যসভায় আজ অর্থ মন্ত্রকের এই জবাবের পরেই সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণে নামে বিজেপি। দলের মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “সরকারের এই বক্তব্যের অর্থ, কিছু দিনের মধ্যেই ডিজেলের দাম বাড়তে চলেছে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় অবশ্য বিজেপির যুক্তি মানতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, “এই সিদ্ধান্ত ২০১১ সালের জুন মাসে নেওয়া হয়েছে।” তবে সরকার এখনও সেই সিদ্ধান্তে অটল কি না, বা কবে সেই সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করা হবে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি প্রণব। বামেরাও ডিজেলের দামে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের হিসেবে, এই মুহূর্তে ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হলে লিটার প্রতি ১৫ টাকা হারে দাম বাড়বে। বাম-বিজেপির নেতাদের বক্তব্য, ডিজেল সব রকম গণ-পরিবহণের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে এতে মূল্যবৃদ্ধি বাড়বে। তা ছাড়া সেচের কাজেও ডিজেল ব্যবহার হয়। তবে অর্থ মন্ত্রকের তরফে সংসদে জানানো হয়েছে, রান্নার গ্যাস নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার কোনও প্রস্তাব এখনও নেই। ভারতে আমদানি করা অশোধিত তেলের দাম এখন ব্যারেল প্রতি প্রায় ১১৫ ডলার। চলতি অর্থবর্ষে তেলে ভর্তুকির জন্য ৪৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা তেল সংস্থাগুলিকে দেওয়া হবে বাজারের তুলনায় কম দামে পেট্রো-পণ্য বিক্রি করার ক্ষতিপূরণ হিসেবে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৬৫ হাজার কোটি টাকা। |
|
|
|
|
|