১২ কোটি টাকার ব্যাঙ্কঋণ মঞ্জুর |
শীঘ্রই পুরোদস্তুর উৎপাদনের ইঙ্গিত ডাকব্যাকের |
গার্গী গুহঠাকুরতা • কলকাতা |
ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিল নব্বই বছরের পুরনো ব্র্যান্ড ‘ডাকব্যাক’। পুরোদমে উৎপাদনে ফিরতে চায় স্বদেশি আন্দোলনের সময় তৈরি সংস্থা বেঙ্গল ওয়াটারপ্রুফ। পয়লা বৈশাখের আগে ১২ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছে ব্যাঙ্কগুলি। কার্যকরী মূলধন হিসেবে তা কাজে লাগিয়ে মে মাসেই পুরোদস্তুর উৎপাদন শুরু হবে বলে দাবি সংস্থা কর্তৃপক্ষের।
একই সঙ্গে নিজেদের ব্যবসায়িক কৌশলও তৈরি করছে সংস্থা। ইতিমধ্যেই একটি পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে বাজার পরখ করার সমীক্ষা চালাচ্ছে তারা। সেই অনুযায়ী বাজারের চাহিদা বুঝেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে ১৯২০ সালে তৈরি ওই সংস্থা। |
|
আপাতত সংস্থার তিনটি নিজস্ব ‘ব্র্যান্ড স্টোর’ আছে। উৎপাদন পুরোদমে চালু হলে এই সংখ্যা ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে অনেকটা বাড়িয়ে নিতে চান বলে জানান সংস্থার কর্ণধার অভিষেক বোস। তিনি বলেন, “প্রথম বছরে প্রায় ৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করছি। ৫ বছরে ব্যবসা ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।”
ঠিক এক বছর আগে প্রায় মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছিল সংস্থার। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় কর্মী বিক্ষোভ। বকেয়া পড়ে বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। শেষ চেষ্টা হিসেবে কারখানার লাগোয়া জমি কাজে লাগাতেও উদ্যোগী হন কর্তৃপক্ষ। পানিহাটিতে ২২ একর জমি জুড়ে কারখানা ও কর্মী আবাসন। কারখানা ও জমি ব্যাঙ্কের কাছে ইতিমধ্যেই বন্ধক দেওয়া রয়েছে। তবে জমির চরিত্র বদলের সমস্যাও রয়েছে। ফলে জমি বিক্রি করে কার্যকরী মূলধন জোগাড় করার পরিকল্পনা সফল হয়নি।
এর পরই আইডিবিআই ক্যাপিটালের দ্বারস্থ হয় বেঙ্গল ওয়াটারপ্রুফ। শুরু হয় ঋণ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া। অভিষেকবাবুর দাবি, সংস্থার আর্থিক খতিয়ান দেখে সন্তুষ্ট ঋণদাতা সংস্থারা। চলতি মাসের মধ্যেই ঋণের টাকা পেয়ে যাবেন বলে তাঁর আশা। আর সেই অর্থের ভরসাতেই নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে এই বাংলার এই পরিচিত ব্র্যান্ড।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজার ধরার চেষ্টায় যে ত্রুটি ছিল, তা স্বীকার করেছেন অভিষেকবাবু। সত্তরের দশকের শেষ পর্যন্ত আয়ের ৮০% খুচরো ব্যবসা থেকেই এসেছে। কিন্তু আশি ও নব্বইয়ের দশকে বড় সংস্থাকে পণ্য বিক্রিতে জোর দেওয়া হয়। পরে তারা বাজেট কমালে ব্যবসা হারায় ডাকব্যাক। এ বার তাই নয়া ব্যবসায়িক কৌশলও চায় তারা। |
|