কিছু জানায়নি কেউ, আক্ষেপ সাগরিকাদের
ক পরিবারে উৎসব, আর এক পরিবারে আনন্দের মধ্যেও বিষাদের ছোঁয়া। অভিজ্ঞান-ঐশ্বর্যা দেশে ফিরলেও মা বা দাদু-দিদার সঙ্গে দেখা হল না তাদের।
অভিজ্ঞানদের ঠাকুরদা-ঠাকুমা এ দিন দিল্লি চলে গিয়েছিলেন ওদের আনতে। সাগরিকা এবং তাঁর পরিবার কিন্তু সারা দিন কাটিয়েছেন বিরাটির বাড়িতে বসেই। দাদু মনোতোষ চক্রবর্তী টেলিফোনে বলছিলেন, “বাচ্চা দু’টো কবে মায়ের কাছে আসবে, কে জানে!”
একে সন্তানদের ছেড়ে থাকার দুঃখ। তার উপরে স্বামীর সঙ্গেও মনোমালিন্য বাড়ছিল। তাই নরওয়ে থেকে গত মাসেই দেশে ফিরে এসেছেন সাগরিকা। কিন্তু সন্তানদের কবে কাছে পাবেন, এখনও জানা নেই। শুধু তাই নয়। যেহেতু সন্তানদের প্রতি নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে মায়ের বিরুদ্ধে, মায়ের হাতে শিশুদের তুলে দেওয়া যাবে না বলে কড়া নির্দেশও রয়েছে নরওয়ের আদালতের। আদালত কাকা অরুণাভাসকেই শিশুদের দায়িত্ব দিয়েছে। তবে মনোতোষবাবুর যুক্তি, “নরওয়ের আইন এ দেশে খাটবে না। শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই থাকবে।”
কলকাতা বিমানবন্দরে নাতি-নাতনিদের দেখতে গেলেন না মা-দাদু-দিদা কেউ? মনোতোষবাবুর জবাব, “আমাদের তো কেউ কিছু জানায়নি!” কিছুটা হতাশার সুরেই বৃ্দ্ধ বলেন, “মেয়েকে যখন জামাইয়ের সঙ্গে বিদেশি বিমানে তুলে দিয়েছিলাম, তখন ভাবিনি, এই দিন দেখতে হবে। এত কম সময়ের মধ্যে কত কিছু ঘটে গেল!” তবে অনুরূপ-সাগরিকার মধ্যে বিবাদের প্রসঙ্গে না গিয়ে আপাতত নাতি-নাতনিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়াতেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন তিনি। দাদুর কথায়, এখন বাচ্চাগুলোকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনাটাই সবথেকে জরুরি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.