দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল মন্তেশ্বরের এক রেশন ডিলারকে। লক্ষ্মী মণ্ডল নামে মালডাঙা এলাকার ওই রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করেছেন মহকুমা খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ডিলার ছ’টি গ্রামে রেশনের জিনিসপত্র সরবরাহের কাজ করেন। সেগুলি হল ছোট বাঘাসন, খাঁপুর, জয়পুর, ছোট ধেড়িয়া, পাকুরমুরি এবং মালডাঙা বাজার। সম্প্রতি এই সব এলাকার কয়েক জন বিপিএল তালিকাভুক্ত বাসিন্দা বিডিও, মহকুমাশাসক, মহকুমা খাদ্য নিয়ামক দফতরে লিখিত অভিযোগে জানান, রেশন ডিলারের কাছে তাঁরা বহু বছর ধরে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিপিএল তালিকাভুক্তদের প্রাপ্য অনুযায়ী রেশন সামগ্রী তাঁরা পাচ্ছেন না। এ জন্য এলাকার রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান বাসিন্দারা। কালনা মহকুমা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক অসীম নন্দী বলেন, “প্রাথমিক তদন্তের পরেই ওই রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সবিস্তার তদন্তের পরে ওই ডিলার সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই ডিলার যেখানে জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন, সেখানকার মানুষজন কাছাকাছি অন্য ডিলারের থেকে মালপত্র পাবেন।”
|
ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক শিশুর। মঙ্গলবার মন্তেশ্বরের মূলগ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, ওই শিশুর নাম বাবুধন টুডু (৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে খেতমজুরের কাজ করার জন্য কয়েকটি পরিবার মূলগ্রামে এসেছিলেন। ওই দলে থাকা চার-পাঁচটি শিশু এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ গ্রামের পাকা রাস্তা পেরিয়ে একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। ফেরার পথে রাস্তা পেরোনোর সময়ে একটি ডাম্পার বাবুধনকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। স্থানীয় মানুষজন ডাম্পারটিকে ধাওয়া করেন। মেমারির মালম্বা এলাকায় ডাম্পারটি রেখে পালিয়ে যান চালক। পুলিশ ডাম্পারটি আটক করেছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও চালককে ধরার দাবিতে মেমারি-মন্তেশ্বর রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। প্রায় ঘণ্টা তিনেক অবরোধ চলে। আটকে পড়ে বেশ কিছু যানবাহন। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে।
|
জেলা সমাজকল্যাণ দফতরের ভাতা পেল সাঁতারু শ্রেয়া ভট্টাচার্য। সোমবার কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি তার হাতে ৩৬০০ টাকা বাৎসরিক ভাতা তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন পূর্বস্থলী (দক্ষিণ) কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ। কালনার ধাত্রীগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের ওই প্রতিবন্ধী ছাত্রী সম্প্রতি জাতীয় পর্যায়ে একটি সাঁতার প্রতিযোগিতায় চারটি ব্রোঞ্জ ও একটি রূপোর পদক জয় করে। এর পর মহকুমাশাসক জেলা সমাজ কল্যাণদফতরের চিঠি দিয়ে শ্রেয়াকে যাতে ভাতা দেওয়া হয়, তার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “শ্রেয়াকে আরও ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
|