তৈরি করার কয়েক দিনের মধ্যে ফেটে গিয়েছে বর্ধমানের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লি এলাকার রাস্তা। ঢালাই রাস্তার বহু অংশেই সিমেন্ট উঠে বেরিয়ে পড়েছে বালি ও ঝামা। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের (বিডিএ) তৈরি করা এই রাস্তাটি এখনই সারানোর ব্যবস্থা না হলে সেটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) তথা বিডিএ-র সিইও শরৎ ত্রিবেদী।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ফেব্রুয়ারিতে এই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়। ১৫ লক্ষ টাকার বেশি খরচ দেখানো হলেও সিকি কিলোমিটার লম্বা এই রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে। তার জেরেই মাত্র এক মাসের মধ্যে রাস্তার বালি, পাথর বেরিয়ে পড়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। |
এই রাস্তা ও সংলগ্ন নর্দমা তৈরির সময়ে জোর করে ব্যক্তিগত জমি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে বিডিএ-র বিরুদ্ধে। সেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক বাপ্পাদিত্য ঘোষের নামও। তবে বাপ্পাদিত্যবাবু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, “রাস্তাটির বেশ কিছু ত্রুটির অভিযোগ শুনেছি। এ ব্যাপারে বিডিএ-র দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছি। আশা করি, প্রশাসন তদন্ত করবে।”
বিডিএ সূত্রে জানা যায়, এই রাস্তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন আধিকারিকেরা। কারণ, রাস্তাটি যে দৈর্ঘ্যের হওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে বেশি তৈরি হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত ধার্য-ব্যয় নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) তথা বিডিএ-র সিইও শরৎ ত্রিবেদী বলেন, “রাস্তাটি নিয়ে কিছু অভিযোগ শুনেছি। আমরা তদন্ত করব। তার পরেই বলতে পারব, কী ঘটেছে।” |