|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা: লেকটাউন, বারাসাত |
বন্ধ পরিষেবা |
‘দখল’ টার্মিনাস |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাস পরিষেবা বন্ধ হয়েছে আগেই। অভিযোগ, এখন টার্মিনাসও কার্যত বেদখল হয়েছে। মোটরসাইকেল ও স্ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে থাকে। ঠাঁই নিয়েছেন ভবঘুরেরা। চলে আসামাজিক কাজও। এমনই অবস্থা কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (সিএসটিসি) রাজারহাট চৌমাথার বাস টার্মিনাসের।
রাজারহাট চৌমাথায় ১২ কাঠা জমিতে ১৯৮৭-তে সিএসটিসি-র বাস টার্মিনাস গড়ে ওঠে। টার্মিনাসে বসানো হয় স্টার্টারের গুমটি। নেওয়া হয় বিদ্যুতের মিটারও। এই টার্মিনাস থেকে তখন শ্যামবাজারগামী এল ৯১বি বাস চলত। কয়েক বছরের মধ্যে দিঘা ও শিলিগুড়িগামী বাস পরিষেবাও চালু হয়।
|
|
কিন্তু, কয়েক মাসের মধ্যেই দূরপাল্লার রুট দু’টি বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েক বছর পরে এল ৯১বি বাস পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক বছর আগে স্থানীয় রাজারহাট-বিষ্ণুপুর ১-নম্বর পঞ্চায়েত টার্মিনাসে একটি ভেপার ল্যাম্প লাগায় এবং নলকূপ বসায়। বিষ্ণুপুর ১-নম্বর পঞ্চায়েত টার্মিনাস সাফাই করতে এবং টার্মিনাসের শৌচাগারটিকে ‘সুলভ শৌচাগার’ হিসাবে ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়। কিন্তু বেশি দিন সেই কাজ চলেনি।এখন সারা দিন টার্মিনাস জুড়ে মোটরসাইকেল, ট্যাক্সি, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে থাকে। রাতে ভবঘুরে বাস করেন। অভিযোগ, টার্মিনাসে অসামাজিক কাজকর্মও হয়। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মেহমুদ আখতার বলেন, “টার্মিনাসে অসামাজিক কাজকর্মের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।”
অভিযোগ, টার্মিনাস থেকে স্টার্টারের গুমটি আর মিটার উধাও হয়ে গিয়েছে। চার পাশে নোংরা পড়ে থাকে। সেখানে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয় বলেও অভিযোগ। টার্মিনাসে থাকা রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের মূর্তির পিছনে গণ শৌচাগার তৈরি হয়ে গিয়েছে। |
|
রাজারহাটের বাসিন্দা প্রদীপ রায় বলেন, “আজ বেশ কয়েক বছর রাজারহাট থেকে কোনও সরকারি বাস পরিষেবা নেই। গুমটি আর বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়ে গিয়েছে। অথচ সরকারের এ নিয়ে কোনও হেলদোলও নেই। আগের সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েও পূরণ করেনি। নতুন সরকার উদ্যোগী হলে ভাল।”
সিএসটিসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “ওই টার্মিনাস থেকে বাস পরিষেবা চালু করার একটি আবেদন আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি সম্পর্কে সবিস্তারে খোঁজ নিয়ে জানাব।” স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের সব্যসাচী দত্তের কথায়: “সমস্যার কথা স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে জানালে উদ্যোগী হব।” পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “টার্মিনাসটি পরিদর্শনের জন্য দ্রুত লোক পাঠাব।”
|
ছবি: সুদীপ ঘোষ |
|
|
|
|
|