|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
সরণি সিগন্যালহীন
|
যেমন খুশি চলো |
দীক্ষা ভুঁইয়া |
সকাল সাড়ে ন’টা। মহাত্মা গাঁধী রোডের কবরডাঙা মোড়। দু’টি বাসের মাঝে পড়ে গেলেন এক মোটরসাইকেল চালক। কোনওক্রমে সামলে বেরিয়ে গেলেন। এ মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল নেই।
মহাত্মা গাঁধী রোডেরই ধাড়াপাড়া মোড়ে অটোর সারির মাঝ দিয়েই একটি গাড়ি জোরে ডান দিকে ঘুরে গেল। অল্পের জন্য দুর্ঘটনা ঘটল না। এখানেও ট্রাফিক সিগন্যাল নেই।
অভিযোগ, শুধু দু’টি জায়গা নয়, কলকাতা পুলিশের অর্ন্তভুক্ত হওয়ার পরেও টালিগঞ্জ ট্রামডিপো থেকে ঠাকুপুকুর মোড় পর্যন্ত এই রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল বসেনি। এলাকাটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে। |
|
এখানে রয়েছে হরিদেবপুর, কেওড়াপুকুর, কবরডাঙা, কালীতলা, ঠাকুরপুকুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, পরিকাঠামো গড়ে তোলার আগেই কলকাতা পুলিশের অধীনে আনার ফলে সামান্য যানজট কমা ছাড়া কিছুই হয়নি। তা ছাড়া অনেক সময়েই ট্রাফিককর্মীর দেখা মেলে না। সহজে জোকা কিংবা ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার জন্য মহাত্মা গাঁধী রোড ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে গাড়ির চাপ প্রচুর বেড়ে গিয়েছে।
এই রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি বাজার রয়েছে। ভোর থেকেই ম্যাটাডর, ভ্যান, রিকশা এই রাস্তা ব্যবহার করে। তা ছাড়া রয়েছে প্রচুর অটোও। সিগন্যাল না থাকায় এদের নিয়ন্ত্রণ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ওভারটেকিং চলতেই থাকে। তা ছাড়া মোটরসাইকেল চালকদের দৌরাত্ম্যও রয়েছে। |
|
অনেক জায়গায় ছোট রাস্তা এসে এই রাস্তায় মিশেছে। অভিযোগ, সেখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। এই সব রাস্তা থেকে গাড়ি হঠাৎ করে প্রধান রাস্তায় বেরিয়ে আসে। ফলে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর রত্না শূর বলেন, “এলাকাটি কলকাতা পুলিশের অধীনে আসার পরে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। সারা দিনই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিককর্মী থাকেন।”
কবরডাঙার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ব্যস্ত সময়ে কয়েকটি জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও, তাঁরা হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলের চালকদের ধরতেই ব্যস্ত থাকেন। কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক (সাউথ) দিলীপকুমার আদক বলেন, “ওই রাস্তায় সিগন্যাল বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একটু সময় লাগবে। এখন যে লোকবল তাতে সব জায়গায় লোক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রধান মোড়গুলিতে ট্রাফিককর্মী থাকে।” |
ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
|
|
|
|
|