বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে চিত্রসংবাদিক-সাংবাদিকদের উপর হামলায় অভিযুক্ত দুই জুনিয়র ডাক্তারের আগাম জামিন নাকচ করে দিলেন বর্ধমানের জেলা জজ প্রভাতকুমার অধিকারী। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় জেলা জজ প্রশ্ন করেন, যাঁদের হাতে স্টেথোস্কোপ থাকার কথা, তাঁদের হাতে কী করে উঠল বাঁশ, লাঠি? এই জুনিয়র ডাক্তারেরা সমাজে ভবিষ্যতে কী ভূমিকা পালন করবেন?
গত ২৮ মার্চ হাসপাতালে এক বালিকার মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার জেরে মৃতের আত্মীয়দের সঙ্গে বচসা বাধে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের। দু’পক্ষের মারপিটও হয়। অভিযোগ, ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হন আনন্দবাজারের চিত্র সাংবাদিক-সহ কয়েক জন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি। শৌভিক বাগ ও অভিমন্যুকুমার সিংহ নামে দুই জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় এফআইআর করা হয়। ঘটনার এত দিন পরেও অবশ্য পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেনি।
এ দিন ওই দু ’জনের আগাম জামিনের শুনানি হয়। মৃত বালিকার আত্মীয় এবং চিত্রসাংবাদিক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের পেটানোর অভিযোগ তুলে সিডি জমা দিয়ে আগাম জামিনের আর্জি জানান অভিযুক্তদের আইনজীবী মহম্মদ ইয়াসিন। মামলার সরকারি আইনজীবী সুব্রতকুমার হাটি ওই আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, “কী ভাবে সাংবাদিকদের মারা হয়েছে, তার সিডি এবং আঘাতের রিপোর্ট আমি জমা দিয়েছি। মামলার গুরুত্ব বুঝে আদলত ওই দু’জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার ব্যপার বিবেচনা করুক।” দু’পক্ষের সওয়াল শুনে জেলা জজ আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেন। এর পরে কি অভিযুক্তদের ধরা হবে? এ প্রশ্নের উত্তর দেননি জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। |