ট্রেন থেকে পড়ে শিক্ষিকার রহস্যমৃত্যু
তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রেল
হকারি প্রধান শিক্ষিকার রহস্যজনক মৃত্যুর তিনদিন বাদেও তদন্তের কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বিগ্ন মৃতার পরিবার। ফরাক্কা স্টেশনে কাছ থেকে গত সোমবার গভীর রাতে মারা যান বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা রিনা দে। ঘুমন্ত ওই শিক্ষিকার মাথার কাছে থাকা লাল রঙের ব্যাগ নিয়ে পালাবার সময় চোরের পিছনে তাড়া করার সময় রিনাদেবীকে ধাক্কা দিয়ে দুষ্কৃতীরা ট্রেন থেকে ফেলে দেয় বলে তাঁর স্বামী শিশির দত্তের অভিযোগ। রেলের নিরাপত্তা চরম অবহেলার কারণে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে শিশিরবাবু অভিযোগ তোলেন। তবে ঘটনার পর তিন দিন কাটলেও তদন্তের অগ্রগতি না হওয়ায় ওই পরিবারের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ডুয়ার্সের বাসিন্দা তথা ভারতীয় রেল বোর্ডের যাত্রী পরিষেবা কমিটির চেয়ারম্যান জোয়াকিম বাক্সলা বুধবার মুম্বইতে শিক্ষিকার অপমৃত্যুর তদন্তে অগ্রগতি না-হওয়া শুনে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি। সুরক্ষার কারণে এই ধরণের ঘটনা ঘটলে তা কিছুতে মানা যায় না। কারও গাফিলতি থাকলে ছাড় পাবে না। পরিবারের লোকজন ঘটনাটি রেল পুলিশের পাশাপাশি আমাকে লিখিতভাবে জানালে ভাল হয়।” শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের ধরার জন্য রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করবেন তৃণমূলের মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লক সভাপতি পঙ্কজ দাস। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মণি কুমার ডারনাল ট্রেনে নিরাপত্তা থাকলে ওই শিক্ষিকা মারা যেতেন না বলে মনে করেন। আরএসপি নেতা গোপাল প্রধানের কথায়, “ঘটনার তিন দিন বাদেও পুলিশের হেলদোল নেই দেখে অবাক লাগছে।” বীরপাড়ার সিপিএম নেতা রবিন রাইও ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি তুলেছেন। রবিনবাবু বলেন, “মানুষ শান্তিতে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারছেন না। নিরাপত্তায় গাফিলতির জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।” সোমবার রাতে নিউ আলিপুরদুয়ার-শিয়ালদহগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের রিনা দত্ত, স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে ফরাক্কা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ধারে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। তাঁর স্বামী শিশিরবাবুর জানান, রাতে এক দুষ্কৃতী রিনাদেবীর হাতব্যাগটি নিয়ে পালায়। স্ত্রীর গলায় চোর চোর আওয়াজও শুনি। তার পর থেকে ওঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কামরার একটি দরজা খোলা ছিল। এর পরে আশপাশের সমস্ত কামরায় খোঁজাখুজি চলে। ততক্ষণে ট্রেন ফরাক্কা স্টেশনে ঢোকে। রেল পুলিশ ও টিকিট পরীক্ষককে তিনি মৌখিক ভাবে সব জানাই। পাকুড় পৌঁছতেই দেহ উদ্ধারের খবর পাই। ওই দুষ্কৃতী ওঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে বলে শিশিরবাবুর সন্দেহ। রেল পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেননি শিশিরবাবু। তিনি জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই অভিযোগ করব।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.