|
|
|
|
তছরুপে অভিযুক্ত ধৃত দু’দশক পরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
৩৬ হাজার টাকা তছরূপের অভিযোগে কেন্দ্রীয় মশলা পর্ষদের ‘পলাতক’ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি দল কালিম্পঙের দশ মাইল এলাকা থেকে বছর পঞ্চান্নর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়িতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মাথাই লুকোস। আদতে কেরালার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দফতরের অন্য এক কর্মী এন কে রায়ের সঙ্গে অর্থ তছরূপের অভিযোগে ১৯৯৩ সালে অভিযুক্ত হন। সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে। মামলার বিচার চলাকালীন একেবারে শেষ প্রান্তে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ধৃত ব্যক্তি এবং অন্য অভিযুক্ত গা ঢাকা দেন। তার পরেই আদালতের নির্দেশে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি হয়। অন্যজনের খোঁজ চলছে। এদিন ধৃতকে আদালতে হাদির করানো হলে বিচারক শিবাশিস সরকার তাকে ৯ মে পর্যন্ত জেলে রাখার নির্দেশ দেন। সিবিআই আদালতের আইনজীবী মৃণালকান্তি দেব বলেন, “বিচারের শেষপ্রান্তে অভিযুক্তদের আইনজীবীর সওয়াল জবাবের কাজই বাকি ছিল। সেই সময়ে এই মামলায় অভিযুক্ত দু’জনই পালিয়ে যান। সিবিআই একজনকে ধরতে পেরেছে। অন্যজনের খোঁজ চলছে।” কোনও আইনজীবী দিতে না-পারায় ধৃত ব্যক্তি এদিন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন জানাতে পারেননি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের সময়ে ধৃত ব্যক্তি কেন্দ্রীয় মশলা পর্ষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সটেনশন অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে তিন জন কৃষকের উৎপাদিত এলাচ প্রক্রিয়াকরণের ঘর তৈরির জন্য দফতর থেকে ১২ হাজার করে মোট ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। বরাদ্দ টাকায় ঠিকমতো খরচ হয়েছে কি না তাও দেখার দায়িত্ব ছিল ধৃত ব্যক্তি এবং অন্য এক ‘পলাতক’ এন কে রায়ের। দফতরের আধিকারিকেরা বরাদ্দ টাকা কী ভাবে খোঁজ হয়েছে তা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন এলাচ প্রক্রিয়াকরণের জন্য আদৌ কোনও ঘর তৈরি হয়নি। এই ব্যাপারে দফতরের পক্ষ থেকে সিবিআইকে অভিযোগ জানানোর পরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ৪২০, ৪৬৮ এবং প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্টের ১৩ (২) ও ১৩ (ডি) (১) ধারায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। ধৃত ব্যক্তি এদিন আদালতে ঢোকার সময়ে নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেন। ২০০২ সালে তিনি মশলা পর্ষদ থেকে অবসর নিয়েছেন বলেও জানান। |
|
|
|
|
|