শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনে ভোট
জোট হল না দুই শরিকের
শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল আইনজীবী সেলের জোট হল না। আগামী ২৭ এপ্রিল বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন হবে। মোট আসন ১৫। কংগ্রেস ও তৃণমূল প্রভাবিত দুই সংগঠনই পৃথক ভাবে সব ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তবে বামেরা শুধু ১০টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। বর্তমানে বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট প্রভাবিত কমিটি। তা হলে এ বার জোট হল না কেন? কংগ্রেস সূত্রের খবর, সম্প্রতি শিলিগুড়িতে একাধিক ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভুমিকায় প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। যেমন, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র পরিষদের নেতা রোলান্ড দে’কে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করে। তৃণমূলের নির্দেশেই পুলিশ এমন পক্ষপাত করেছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শিলিগুড়িতে এক ব্যবসায়ীকে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করার পরে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে দূরত্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। এমনকী, আদালতে ‘প্যানেল প্লিডার’ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তৃণমূল ‘দলবাজি’ করেছে বলে কংগ্রেসের আইনজীবী সেলের অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য কংগ্রেসের ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, জোট শরিক হয়েও কংগ্রেস সমানে জোট বিরোধী কথাবার্তা বলছে। রাজ্য সরকারকে ছোট করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জোট না-হওয়ার বিষয়টিকে ‘রাজনীতি’ খোঁজার চেষ্টা করতে চান না। তিনি বলেন, “বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে বহু বার আমাদের সদস্যরা নির্দল হিসাবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এখানে রাজনীতি খোঁজাটা অর্থহীন।” তবে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা নকশালবাড়ি মাটিগাড়ার বিধায়ক শঙ্কর মালাকার সাফ বলেছেন, “কেবল জোট করলেই তো হবে না। জোট শরিক হিসাবে প্রাপ্য সম্মানও চাই। সেটা যদি পাওয়া যায় তাহলে ঠিক আছে। না-হলে মানুষের রায় নেওয়াই তো উচিত।” তৃণমূল আইনজীবী সেলের সভাপতি তথা শিলিগুড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী পীযূষকান্তি সাহা অবশ্য জোট না-হওয়ার জন্য কংগ্রেস আইনজীবী সেলকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “২৮ মার্চ আমরা কংগ্রেস আইনজীবী সেলকে চিঠি দিয়ে জোট নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিই। কিন্তু কংগ্রেস সেলের তরফে সাড়া মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে হয়। জোট না-হওয়ার জন্য কংগ্রেস আইনজীবী সেল দায়ী।” তাঁরা যে তৃণমূল আইনজীবী সেলের জোট চেয়ে পাঠানোর চিঠির উত্তর দেননি সে কথা স্বীকার করেছেন শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা নির্বাচনে কংগ্রেস সেলের সভাপতি পদপ্রার্থী সুরেশ মিত্রুকা। তিনি বলেন, “আমাদের সদস্যরা এ বার জোট চাননি। আমরা তাঁদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে পৃথক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তৃণমূল আইনজীবী সেলের সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অশোক বসু ও সন্তোষ সরকার। কংগ্রেস আইনজীবী সেল থেকে ওই দুটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুরেশ মিত্রুকা ও উদয়শঙ্কর মালাকার। বামপন্থী আইনজীবী সঙ্ঘের হয়ে সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কবীন্দ্র ভৌমিক ও শুভাশিস সাহা। বামেরা ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বাম আইনজীবী সঙ্ঘের পক্ষে সুব্রত সরকার বলেছেন, “আমরা নিজেদের শক্তি বুঝে এগোচ্ছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.