উচ্ছেদের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
উচ্ছেদের বিরুদ্ধে একাংশ ব্যবসায়ীরা পথে মেনে আন্দালন শুরু করেছেন জলপাইগুড়িতে। গত বুধবার থেকে জলপাইগুড়ি শহরের মূল রাস্তাগুলি থেকে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পুরসভা। পুলিশ নিয়ে পুরসভার তরফে রাস্তার দুই ধারে দখল করে অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করার কাজ চলছে। গত বুধবার শান্তিপাড়া থেকে শিরিষতলা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়। এদিন বৃহস্পতিবার শহরের রাজবাড়ি এলাকায় চিহ্নিতকরণের কাজ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দখলদারেরা তিন দিনের মধ্যে নিজেরা অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে না দিলে পুরসভা সেগুলি ভেঙে দেবে বলে ঘোষণা করেছে। পুরসভার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পথে নেমেছেন শান্তিপাড়া ও শিরিষতলার একাংশ ব্যবসায়ী। বুধবার রাতে এলাকার ব্যবসায়ীরা বৈঠক করেন। এদিন সকাল থেকেই এলাকার অধিকাংশ দোকান বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে ধিক্কার জানিয়ে শহরে মিছিল করেছেন ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা। জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সব এলাকায় সঠিকভাবে অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়নি। গত জানুয়ারি মাসেই শান্তিপাড়া এলাকায় পুরসভার নোটিশে এলাকার ব্যবসায়ীরা রাস্তা থেকে দোকান সরিয়ে নিয়েছেন। |
|
পুরসভার উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে জলপাইগুড়ির মাসকলাইবাড়িতে
ব্যবসায়ীদের বন্ধ। বৃহস্পতিবার ছবিটি তুলেছেন সন্দীপ পাল। |
তিন মাসের ব্যবধানে ফের পুরসভার উচ্ছেদ অভিযান মানা হবে না বলে ব্যবসায়ীরা হুমকি দিয়েছেন। যদিও শহরের মূল রাস্তাগুলি দখলমুক্ত করতে পুরসভা কড়া অবস্থান নিয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “শহরের উন্নয়নের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। যাঁরা বেআইনিভাবে রাস্তা দখল করেছেন, তাঁদের সরে যেতেই হবে।” আগামী রবিবার থেকে শহরের অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। এদিন আন্দোলনকারী ব্যবসায়ীদের মুখপাত্র বিমল কুন্ডু বলেন, “গত জানুয়ারি মাসে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুরসভা। সেই মত সকলেই দোকান সরিয়ে এনেছি। এবার পুরসভার তরফে বলা হয়েছে রাস্তার দুই ধারের নর্দমা পর্যন্ত জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। বারবার এমন সিদ্ধান্ত বরদাস্থ করা হবে না।” ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীদের তরফে জানানো হয়েছে, পুরসভা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে তাতে বাধা দেওয়া হবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাস্তায় অবৈধ নির্মাণ থাকলেই তা সরিয়ে দেওয়া হবে, এ বিষয়ে কোনও বাছবিচারের প্রশ্নই নেই।” |
|