|
|
|
|
বন্ধ জাতীয় সড়ক |
মাদারিহাটে ঝড়-শিলাবৃষ্টি, মহিলার মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হল ডুয়ার্সের মাদারিহাট-সহ তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই দুর্যোগের সময়ে গাছ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম তুলি রায় (৫২)। বাড়ির চালা উপড়ে, গাছের ডাল চাপা পড়ে অন্ততপক্ষে ২৫ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। ২৫০০ কাঁচা ও পাকা বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর গাছ ভেঙে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল রাত পর্যন্ত বন্ধ। ফলে, ভুটান ও অসমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড়ে বহু বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। মাদারিহাটের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের চালও উড়ে গিয়েছে। একাধিক বেসরকারি পর্যটক আবাসের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক অমলকান্তি রায় বলেন, “মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে মাদারিহাট ব্লকে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এক জন মহিলার মৃত্যু হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ছটা নাগাদ মাদারিহাট এলাকায় আচমকা ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিলাবৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। মাদারিহাট, রাঙালিবাজনা ও খয়েরবাড়ির উপর দিয়ে ঝড় বইতে থাকে। ওই সময়ে অশ্বিনীনগর এলাকায় গাছ চাপা পড়ে তুলিদেবীর মৃত্যু হয়।
ঝড়ের সময়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যায়। বিদ্যুৎ পর্ষদের আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ আখতার খান বলেন, “ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে বলে আমার কাছে খবর এসেছে। দ্রুত অবস্থা স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হচ্ছে।”
যে সময়ে ঝড় শুরু হয়, তখন এলাকার বীরপাড়া-মাদারিহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ দাস মাদারিহাটেই ছিলেন। তিনি অফিস থেকে বাইরে বার হওয়ার পরে ঝড়ের দাপটে থমকে যান। বিকাশবাবু বলেন, “চোখের সামনে মটমট করে গাছ ভেঙে পড়ল। রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। ঘরদোর উড়ে গেল। অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী বিলির ব্যবস্থাও হচ্ছে।” মাদারিহাটের বাসিন্দা দেবাশিস সাহা বলেন, “মাত্র ১৫ মিনিটেই সব লন্ডভন্ড হয়ে গেল। কত লোকের যে ক্ষতি হল! কী ভাবে ক্ষতিপূরণ হবে কে জানে?” |
|
|
|
|
|