|
|
|
|
মোর্চা সভাপতির সভা হবে শুনেই বন্ধের ডাক ডুয়ার্সে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের প্রস্তাবিত জনসভার প্রচার শুরু হতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ডুয়ার্স এলাকা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই প্রচারে নেমেছে মোর্চার নেতৃত্বাধীন যৌথ মঞ্চ। ওই সভার বিরোধিতা করে আগামী ২২ এপ্রিল, রবিবার ডুয়ার্সে ১২ ঘন্টার বন্ধ ডেকেছে তরাই-ডুয়ার্স জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। ওই দিনই গুরুঙ্গের সভা হওয়ার কথা। মোর্চা নেতৃত্ব অবশ্য ওই সভা করায় অনড়।
সব মিলিয়ে এই ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে পুলিশ-প্রশাসনে। মালবাজারের মহকুমাশাসক দেবযানী ভট্টাচার্য বলেন, “জনসভার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন পেয়েছি। তবে এখনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।” জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পরিস্থিতির কথা মহাকরণেও জানানো হয়েছে। মোর্চা সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাদের যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা মহাকরণে গিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তার পরেই তাদের ঘোষিত দু’দিনের (১৮ ও ১৯ এপ্রিল) তরাই ডুয়ার্স বন্ধ প্রত্যাহার করা হয়। যৌথ মঞ্চের তরফে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বহিষ্কৃত নেতা জন বার্লা এ দিন দাবি করেছেন, প্রশাসনের সঙ্গে মৌখিক আলোচনার ভিত্তিতেই ২২ এপ্রিল নাগরাকাটায় জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিমল গুরুঙ্গ, রোশন গিরিরা থাকবেন।
এ দিন প্রস্তাবিত ওই সভার প্রচার শুরু হতেই বিরোধিতায় সরব হয় মোর্চা বিরোধী ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’। এ দিন সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন কমিটির নেতারা। রাতে কমিটির আহ্বায়ক তেজকুমার টোপ্পো বলেন, “ওই সভা হলে ডুয়ার্সে অশান্তি ছড়াবে। সে জন্যই আমরা বিরোধিতা করছি। মানুষের আবেগকে মর্যাদা দিতেই বন্ধ ডাকতে বাধ্য হয়েছি।” পাশাপাশি, আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকেও ওই সভা হলে বড় মাপের গোলমালের আশঙ্কা করছেন। তাঁর মন্তব্য, “বিমল গুরুঙ্গ ডুয়ার্সে জনসভা করতে এলে সাধারণ মানুষকে আমরা ঠেকাতে পারব না। তখন কিছু হলে রাজ্য সরকারকেই দায় নিতে হবে।”
তবে মোর্চা নেতারা ওই দিন নাগরাকাটায় যাওয়ার ব্যাপারে অনড় মনোভাব প্রকাশ করেছেন। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “বন্ধ হলেও বিমল গুরুঙ্গ নাগরাকাটাতে যাবেন।” দু’পক্ষের টানাপোড়েনে নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা করছেন ডুয়ার্সের সাধারণ বাসিন্দারা। |
|
|
|
|
|