|
|
|
|
কেএলও জঙ্গি-সহ ধৃত দুই শিলিগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
এলাকার বেকার যুবকদের ভিন্ দেশে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে সন্দেহভাজন এক কেএলও জঙ্গি-সহ দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিলিগুড়ির খড়িবাড়ি থানা এলাকায় নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি থেকে ওই দু’জনকে ধরা হয়।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম পিন্টু বরুয়া ওরফে সুদীপ সরকার ও কাঁচালু সিংহ। বালুরঘাটের বাসিন্দা পিন্টু কেএলও সংগঠনে ‘পায়েল’ নামে পরিচিত। কেএলও-র ষষ্ঠ ব্যাচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পিন্টুকে দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ খুঁজছিল। কাঁচালুর বাড়ি খড়িবাড়িতে। কাঁচালুকে সঙ্গে নিয়েই এলাকার কিছু যুবককে কেএলও-র প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার
ছক কষা হয়েছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন,
|
ধৃত কেলও জঙ্গি
পিন্টু বরুয়া।
ছবি: বিশ্বরূপ বসাক |
“ধৃতদের মধ্যে এক জনকে দীর্ঘদিন ধরে খোঁজা হচ্ছিল। দু’জনকেই জেরা করা হচ্ছে।” পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, প্রাথমিক জেরায় পিন্টু কবুল করেছে, অসমের কোকরাঝাড় এলাকায় কেএলও-র একটি ঘাঁটি রয়েছে। বহুদিন ধরে সেখানেই সে ছিল। সম্প্রতি কোকরাঝাড়ে কেএলও জঙ্গিদের একটি বৈঠকে উত্তরবঙ্গে ফের সংগঠন মজবুত করার সিদ্ধান্ত
হয়। সে জন্য বেকার যুবকদের দলে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। পিন্টুকে শিলিগুড়ি এবং সংলগ্ন এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তার পর থেকেই অসম থেকে পিন্টু ঘন ঘন নেপাল সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় যাতায়াত শুরু করে। কয়েক জন যুবককে নিয়ে সে ওই এলাকায় একটি সভা করে বলেও রাজ্য গোয়েন্দা দফতর জানতে পারে। এ দিন ফের সে পানিট্যাঙ্কিতে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা দফতরের কর্মীরা নজরদারি চালিয়ে পিন্টু ও কাঁচালুকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুটানে সেনা অভিযানের পরে কেএলও দুর্বল হয়ে পড়েছিল। বেশির ভাগ কেএলও জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে মূল স্রোতে ফিরেছেন। কিন্তু, কেএলও-র স্বঘোষিত কমান্ডার জীবন সিংহ এখনও অধরা। সীমান্ত পেরিয়ে তিনি আত্মগোপন করে ফের সংগঠন চাঙ্গা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
গত দু’বছরে শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় ৩ জন সন্দেহভাজন কেএলও জঙ্গি ধরা পড়ে। এর মধ্যে ২ জন সংগঠনের জন্য টাকা জোগাড় করতে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ছক কষেছিল। এক জনের কাছ থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। অন্য জনকে ধরা হয় মাটিগাড়া থানা এলাকা থেকে। ওই যুবকও সংগঠনের জন্য তরুণদের খোঁজে মাটিগাড়ায় কাজ শুরু করেছিল। ওই তিন জন ধৃতদের অন্যতম নিত্যানন্দ সরকার ওরফে জামাই কেএলও-র ২০০৭ সালের ব্যাচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের ধরেই পিন্টু ওরফে পায়েলের ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য পায় পুলিশ। |
|
|
|
|
|