একশো দিনের কাজে গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সব চেয়ে ভাল কাজ করেছে বলে গত কালই মন্ত্রী-সচিবদের নিয়ে মূল্যায়ন বৈঠকে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ওই প্রকল্পের গতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে অতি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। একশো দিনের কাজের প্রকল্প রূপায়ণে শ্লথতা দূর করতে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন তিনি। জয়রাম লিখেছেন, প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ কতটা টাকা খরচ করতে পারছে, তার উপরেই কেন্দ্রের দেয় অর্থের পরবর্তী কিস্তি নির্ভর করবে।
মমতার দাবি, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ ৩৩ দিন পর্যন্ত কাজ দিতে সক্ষম হয়েছে। বৈঠকে তিনি বলেন, আর কোন রাজ্য এত দিন কাজ দিতে পেরেছে! তা হলে কেন্দ্রের কাছ থেকে এমন একটা চিঠি এল কেন? |
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “শুধু মার্চ মাসেই এই প্রকল্পে আমরা ৯৮২ কোটি টাকা বণ্টন করেছি। আমি জয়রাম রমেশের কাছে জানতে চাইব, আর কোন রাজ্য এক মাসে এত বেশি টাকা খরচ করতে পেরেছে!”
একশো দিনের প্রকল্পে যে সব বিষয়ের উপরে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য মমতাকে অনুরোধ করেছেন জয়রাম, তার মধ্যে রয়েছে, কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ধীরগতির সমস্যা, বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে ভাতা পাঠানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব, সাধারণ মানুষ এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে উঠে আসা অভিযোগগুলিকে গুরুত্ব না-দেওয়া ইত্যাদি। সূত্রের মতে, এ রাজ্যে একশো দিনের প্রকল্প নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে সে সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে অন্তত ছ’মাস সময় লাগে। অথচ তিন মাসের মধ্যেই তা হওয়া উচিত।
প্রকল্প রূপায়ণের গতি সম্পর্কে জয়রাম তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘কাজ শেষ করার গতি খুবই শ্লথ। অনেক ক্ষেত্রে কাজ শেষ হলেও ‘কমপ্লিশন সার্টিফিকেট’ তৈরি করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।” |