অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা ও কর্মী হিসেবে ভাতা তোলার অভিযোগ উঠল মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ ও মানবাজার পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের মানবাজার ব্লক যুব সভাপতি মানবেন্দ্র চক্রবর্তী এবং দলের ছাত্র নেতা অপূর্ব সিংহের দাবি, “পঞ্চায়ত প্রধান অনুরূপা সেন ঝাড়বাগদা কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী। ওখান থেকে তিনি নিয়মিত বেতন তোলেন। আবার প্রধান হিসেবে ভাতাও পান। একই ভাবে জিতুঝুড়ি পঞ্চায়েতের মানকোচা কেন্দ্রের সহায়িকা শান্তিমণি মুর্মু মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। তিনিও ভাতা তোলেন, যা সম্পূর্ণ বিধিভঙ্গের সামিল। সম্প্রতি বিডিওকে এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।” মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “এই ধরনের একটি অভিযোগ মিলেছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নীলিমা মাণ্ডির বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পুরুলিয়া জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা হিসেবে তোলা টাকা নীলিমাদেবীকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অনুরূপাদেবী বলেন, “এমন নিয়মের কথা জানা ছিল না। প্রধান হিসেবে সামান্য টাকা ভাতা হিসেবে পাই। দফতরের কর্তাদের এ সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকা উচিত ছিল। প্রয়োজনে এই বিষয় নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হব।” শান্তিমনিদেবীও একই সুরে বলেন, “এরকম নিয়মের কথা জানা ছিল না। আমার আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। টাকা ফেরত দিতে হলে সমস্যায় পড়ে যাব।” অন্য দিকে, পুরুলিয়ার জেলা শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, “জনপ্রতিনিধিরা সরকারি পদের দায়িত্ব নেওয়ার সময় অন্য কোন পদে থেকে ভাতা বা বেতন তোলেন না বলে উল্লেখ করতে হয়। প্রয়োজনে অনেকেই ছুটি নেন। সবাই এই নিয়ম মেনে চলেন।” তাঁর দাবি, “পুরুলিয়ার মধ্যে এই ধরনের অনিয়ম সব থেকে বেশি মানবাজার ব্লক এলাকায়।” |