শ্যামবাঁধ ভরাট রুখল পুরসভা
পুকুরের পরে এ বার বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামবাঁধ ভরাট রুখলো পুরসভা। বৃহস্পতিবার লোকমুখে খবর পেয়ে পুরকর্মীরা গিয়ে দেখেন শ্যামবাঁধে ট্রাক্টর এনে মাটি ফেলা হচ্ছে। উপপুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ দিন শ্যামবাঁধে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে বলে খবর পেয়েই পুরসভার সহ বাস্তুকার সোমনাথ রাইকে পাঠানো হয়। তাঁকে দেখেই ওরা চম্পট দেয়। পুলিশ ও ভূমি দফতর ও মহকুমাশাসককে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।”
বিষ্ণুপুরের ইতিহাসবিদ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত ও আইনজীবী মহাদেব দে বলেন, “মল্ল রাজবাড়ি বিষ্ণুপুরে জলকষ্ট মেটানোর জন্য ষোড়শ-সপ্তদশ শতকে শ্যামবাঁধ-সহ সাতটি বাঁধ কাটানো হয়েছিল।
ভরাটের চেষ্টা। ছবি: শুভ্র মিত্র।
প্রাচীনত্বের কারণে এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেকখানি। ওই বাঁধ ভরাটে যুক্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।” ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ফাল্গুনী রায় বলেন, “জলাশয় ভরাট করা বেআইনি। বিষয়টি মহকূমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে দেখতে বলেছি।” বিষ্ণুপুরের মহকূমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক রবীন সরকার বলেন, “ওই বাঁধের মালিক ১৪ জন। প্রত্যেককেই পুকুর ভরাটের কারণ দর্শানোর ‘নোটিস’ পাঠানো হচ্ছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ কুমারী টকি হাউস এলাকায় একটি ট্রাক্ট থেকে শ্যামবাঁধে মাটি ফেলা হচ্ছিল। স্থানীয়রাই পুরকর্তৃপক্ষকে খবর দেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.