হাই মাদ্রাসার শিক্ষক কাজি নিজামুদ্দিন মণ্ডল খুনে বুধবার রাতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম বাবু খান ও পিয়ার খান। বাড়ি থানারপাড়ার গোরভাঙা ও নারায়ণপুর গ্রামে।
বুধবার থানারপাড়া গোপালনগর হাইমাদ্রাসার শিক্ষক নিজামুদ্দিন খুন হন।
মৃত ওই শিক্ষকের বাবা কাজি আব্দুর রাজ্জাক ছেলের মৃত্যুতে বুধবার বিকেলেই একটি ইটভাটার ন’জন অংশীদারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, ইটভাটার অংশীদারদের মধ্যে টাকাপয়সা সংক্রান্ত গণ্ডগোলের জেরেই খুন হয়েছেন নিজামুদ্দিন। ২০০৭-এ গোপালনগর হাই মাদ্রাসায় যোগ দেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙরের সাইহাটির বাসিন্দা কাজি নিজামুদ্দিন। পাশাপাশি হাগনাগাড়ি এলাকায় একটি ইটভাটার সঙ্গেও তিনি জড়িয়ে পড়েন।
জেলা পুলিশের এক অফিসারের কথায়, হাগনাগাড়ি এলাকায় একটি ইটভাটার অংশীদার ছিলেন নিজামুদ্দিন। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগও করেন। সেই টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্যার জেরেই নিজামুদ্দিনকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ইটভাটার এক অংশীদার হাগনাগাড়ির বাসিন্দা সমীর শেখের বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন নিজামুদ্দিন। খুনের ঘটনায় বুধবার দিনভর খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে সব থেকে বেশি সরব ছিলেন সমীর। কিন্তু বুধবার বিকেলের পর থেকে তিনিও বেপাত্তা। পুলিশ জানিয়েছে, নিজামুদ্দিন খুনে সমীরও অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। |