বহরমপুর শহর লাগোয়া সুকান্তপল্লিতে বৃহস্পতিবার সকালে গুলি করে খুন করা হয়েছে এক যুবককে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে একটি পরিচিত ধাবা থেকে মোটরসাইকেলে ওঠার সময়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় (৩৬) নামে ওই যুবককে খুব কাছ তেকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই যুবক। পুলিশ ওই ঘটনায় দু-জনকে আটক করে জেরা করছে বলে জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “দুষ্কৃতীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই খুন। প্রাথমিক ভাবে তাই মনে হচ্ছে। দুষ্কৃতীরাও মোটরবাইকেই এসেছিল। খুব কাছ থেকে গুলি করায় ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন ওই যুবক।” |
প্রণবের এক জামাইবাবু অতুলচন্দ্র সাহা কেন্দ্রীয় রেশম শিল্পকেন্দ্রের কর্মী। ওই শিল্পকেন্দ্রের সরকারি আবাসনে দিদির কাছে রয়েছেন মা সন্ধ্যাদেবী। তিনি অসুস্থ। তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতেই দিদির কোয়ার্টারের দিকে যাচ্ছিলেন প্রণব। ওই যুবক পেশায় ঠিকাদার। প্রণববাবুর স্ত্রী ববিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওর অনেক শত্রু ছিল।”
এক সময়ের যুব কংগ্রেস কর্মী প্রণব ২০০৪ সালে অধীর চৌধুরীর বিরোধী শিবির ‘ইন্দিরা-রাজীব মঞ্চে’ যোগ দেন। ওই মঞ্চের অধিকাংশ সদস্য পরে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল ঘেঁষা ছিলেন প্রণবও। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “তৃণমূলের সমর্থক হলেও দলীয় সদস্য ছিলেন না ওই যুবক।” অন্য দিকে বহরমপুরের আইন শৃঙ্খলার অবনতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানান মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী তৃণমূলের সুব্রত সাহা। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “দিনে-দুপুরে ওই খুনের ঘটনা তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতাই প্রমাণ করে।” |