টুকরো খবর
জৈব সারে চাষ বলাগড়ের গ্রামে
নিজস্ব চিত্র।
রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার প্রয়োগ করে চাষ শুরু হয়েছে হুগলির বলাগড়ে। ব্লকের মহীপালপুর পঞ্চায়েতের ভালকি গ্রামের কিছু চাষি ইতিমধ্যেই জৈব সার প্রয়োগ করে নানা ফসল ফলিয়েছেন ভালকি কল্পতরু মিশনের মধ্যস্থতায়। ওই মিশনের উদ্যোগে গ্রামে এ বার ‘আদর্শ জৈব গ্রাম’ প্রকল্পের উদ্বোধন হল। অর্থাৎ, গ্রামে সব ধরনের চাষই হবে জৈব সারের মাধ্যমে। দিন কয়েক আগে ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম রায় এবং দিগশুই-হোয়েরা পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম নিয়োগী। জৈব সার প্রয়োগে পেঁয়াজ, রসুন, কলা ও নানা শাকসব্জি প্রদর্শিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। উদ্যোক্তারা জানান, এ বার থেকে গ্রামবাসীদের জৈব সার প্রয়োগে চাষের ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হবে। জৈব সারের উপযোগিতা নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্টজনেরা। কৃষিমন্ত্রী বলেন, “রাসায়নিক সার প্রয়োগে যে সব ফসল উৎপাদিত হচ্ছে, তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এতে নানা অসুখ হচ্ছে। তাই রাসায়নিক সার বর্জন করে জৈব সার প্রয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন।” তপনবাবু বলেন, “এখানে জৈব সারে যে চাষাবাদ হচ্ছে, তার মান যে খুবই ভাল। গ্রামের সব মানুষ যাতে জৈব সার চাষের ব্যবহার শুরু করেন, সে দিকে নজর দিতে হবে।”

২৬টি খাতা উধাও, ফের পরীক্ষায় নারাজ ছাত্রীরা
পরীক্ষা হয়েছে দু’সপ্তাহ আগে। এত দিনে আইএসসি-র কিছু পরীক্ষার্থী জানতে পারলেন, তাঁদের দ্বিতীয় ভাষা (বাংলা)-র উত্তরপত্র কাউন্সিলে পৌঁছয়নি। ২৬ এপ্রিলের মধ্যে খাতার হদিস না-পেলে ওই পরীক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষা দিতে হবে। কিন্তু পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। খাতা উধাওয়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার ধরা পড়েছে লিলুয়ার অগ্রসেন বালিকা শিক্ষা সদন স্কুলে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা অন্য সব বিষয়ের মতো বাংলার উত্তরপত্রও স্পিডপোস্টে কাউন্সিলের কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু কেন সেগুলি কাউন্সিলে পৌঁছয়নি, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। স্কুল সূত্রের খবর, এ বছর ওই প্রতিষ্ঠানের ১৭৬ জন ছাত্রী আইএসসি পরীক্ষা দেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জনের দ্বিতীয় ভাষা ছিল বাংলা। গত ৩০ মার্চ সেই পরীক্ষা হয়। ছাত্রীরা জানান, বুধবার স্কুল থেকে তাঁদের ফোন করে জানানো হয়, ২৬ জনের বাংলা উত্তরপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা যেন স্কুলে দেখা করেন। এক ছাত্রী বলেন, “আমরা তো পরীক্ষা দিয়েছি। এখন খাতা পাওয়া না-গেলে আমাদের দোষ কোথায়!” অনেকেই দ্বিতীয় বার পরীক্ষায় বসতে রাজি নন বলে ছাত্রীটি দাবি করেন। এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, “পরীক্ষার সময় এক রকম মানসিক প্রস্তুতি ছিল। এখন অন্য রকম। তাতে পরীক্ষা ভাল না-ও হতে পারে।” স্কুল-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ৩১ মার্চ সালকিয়া ডাকঘর থেকে স্পিডপোস্টে আলাদা আলাদা ভাবে বাংলা ও হিন্দির উত্তরপত্রের প্যাকেট কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছিল। ১৮ এপ্রিল কাউন্সিল থেকে চিঠি দিয়ে তাঁদের জানানো হয়, ২ এপ্রিল হিন্দির উত্তরপত্র পৌঁছে গেলেও বাংলার খাতা পৌঁছয়নি। ২৬ এপ্রিলের মধ্যে উত্তরপত্র না-পৌঁছলে ফের পরীক্ষা হবে। স্কুলের পক্ষে ডগলাস ডি লিমা বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য ডাক বিভাগের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।” ডাক বিভাগের হাওড়া ডিভিশনের সিনিয়র সুপার হরিপদ কোরা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এক জন ইনস্পেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি শুক্রবার বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন।

জট কাটল না ডানলপ কারখানা খোলা নিয়ে
সাহাগঞ্জে বন্ধ ডানলপ কারখানা ফের চালু করা নিয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি। বৃহস্পতিবারও মহাকরণে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু জানান, মে মাসেই কারখানা খোলার বিষয়ে ডানলপ কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন। যদিও তাঁর কথায়, “ওই প্রস্তাব শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার কাছাকাছি নয়। তবে ওই প্রস্তাব নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করব। তাঁরা রাজি থাকলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকব।” শ্রমমন্ত্রী জানান, সাহাগঞ্জ কারখানায় ৭৯০ জন শ্রমিক আছেন। কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব, এর মধ্যে ৪৫৪ জনকে ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে। প্রথম ধাপে ৫৭ জন শ্রমিককে নিয়ে ১ মে কারখানা খুলতে চান কর্তৃপক্ষ। ছ’মাস পরে আরও ১৬২ জনকে নেওয়া হবে। বাকিদেরও নেওয়া হবে এক বছরের মধ্যে। আর ৩৩৬ জনকে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও হিমাচল প্রদেশের কারখানায় নিয়ে যেতে চান ডানলপ কর্তৃপক্ষ। তবে এ বার আর দ্বিপক্ষচুক্তি নয়, কারখানা খুলতে ত্রিপক্ষ চুক্তিই করতে হবে, জানান পূর্ণেন্দুবাবু। এ দিকে পিটিআইয়ের খবর, দু’সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর এ দিন ফের ডানলপের শেয়ার কেনা-বেচা শুরু হল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে। আদালত লিক্যুইডেটর নিয়োগের নির্দেশ দেওয়ার পর সংস্থা গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গত ৩০ মার্চ থেকে তা বন্ধ ছিল। কিন্তু ফের লেনদেন চালুর অনুমতি মিলেছে বলে জানান রুইয়া গোষ্ঠীর কর্তা পবন রুইয়া।

ট্রাক উল্টে জখম ২
নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার ভুল দিকে চলে আসা অ্যাম্বুল্যান্সকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক উল্টে গেলে সেটির চালক ও খালাসি জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে জিটি রোডে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বেনাপোল থেকে জুটমিলের কাঁচামাল-বোঝাই একটি ট্রাক আসছিল ভদ্রেশ্বরের দিকে। ভোর পাঁচটা নাগাদ একটি অ্যাম্বুলেন্স রোগী নিয়ে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে যাচ্ছিল। আচমকাই অ্যাম্বুলেন্সটি রাস্তার ডানদিকে চলে যায়। ফলে, ট্রাকের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিষয়টি বুঝেই ট্রাকের চালক সুব্রত মণ্ডল সজোরে ব্রেক কষেন। তাতে সংঘর্ষ এড়ানো গেলেও ট্রাকটি রাস্তার ধারে উল্টে যায়। চালক সুব্রতবাবু এবং খালাসি সঞ্জীব সর্দার জখম হন। ট্রাকের জিনিস রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহত দু’জনকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’জনেরই বাড়ি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।

নম্বরহীন গাড়ি আটক
ছবি: তাপস ঘোষ।
থামতে বলায় রাত পাহারাদারকে ধাক্কা দিয়ে পালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্তম্ভে ধাক্কা মেরে আটকে যায় নম্বর প্লেটবিহীন একটি ছোট ট্রাক। আরোহীরা ছুটে পালায়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে চুঁচুড়ার প্রিয়নগরে জিটি রোডে। শিশির বৈরাগী নামে জখম ওই পাহারাদারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের সুরেরপুকুরের বাসিন্দা বছর ষাটেকের শিশিরবাবু এবং আরও ৩-৪ জন বুধবার রাতে প্রিয়নগর এলাকায় পাহারা দিচ্ছিলেন। রাত ২টো নাগাদ একটি ছোট ট্রাকে চেপে কয়েকজন ব্যান্ডেলের দিক থেকে চন্দননগরের দিকে যাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় শিশিরবাবুরা গাড়িটিকে থামাতে যান। ট্রাকটি অবশ্য না থেমে উল্টে গতি বাড়িয়ে দেয়। ধাক্কা খান শিশিরবাবু। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়েন। ট্রাকটি গতি বাড়িয়ে পালাতে যায়। তবে, প্রচন্ড গতিতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সেটি একটি বিদ্যুৎস্তম্ভে ধাক্কা মেরে আটকে যায়। স্তম্ভটি ভেঙে যায়। চালক এবং আরোহীরা দৌড়ে পালায়। এর পরে পাহারাদাররা থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানান। শিশিরবাবুকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের অনুমান, গাড়িটির আরোহীরা দুষ্কর্মমূলক কোনও কাজে যাচ্ছিল। সেই কারণেই তারা গাড়ি থামাতে চায়নি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “গাড়িটিতে কোনও নম্বর প্লেট নেই। গাড়িটি চোরাই কি না, তা দেখা হচ্ছে। গাড়িটিতে যারা ছিল, তাদের খোঁজ চলছে।”

উড়ালপুলের কাজ দেখলেন পূর্তমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার ডানকুনি উড়ালপুলের কাজ পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার। স্থানীয় বিধায়ক স্বাতী খোন্দকার এবং ডানকুনি ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে, এলাকার সাংসদের কোনও প্রতিনিধি বা পুরসভার তরফে কেউ ওই বৈঠকে ছিলেন না বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এ দিন শিয়াখালা থেকে ফুরফুরা পর্যন্ত রাস্তা নির্মানের কাজেরও পরিদর্শন করেন পূর্তমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে উড়ালপুলের কাজে গতি এসেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসাররা।

গাঁজা-সহ ধৃত
গাঁজা-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল রিষড়া থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সুব্রত ব্রহ্ম ওরফে শুভ্র। সে হুগলির ত্রাস রমেশ মাহাতো এবং নেপুর ঘনিষ্ঠ। তার বাড়ি রিষড়ার বারুজীবী কলোনীতে। শুভ্রর বিরুদ্ধে একাধিক খুন-সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে রিষড়া থানার ওসি অনুদ্যুতি মজুমদার দলবল নিয়ে বারুজীবী এলাকা থেকে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেন। বৃহস্পতিবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.