|
|
|
|
বাগনান-শ্যামপুর রোড |
ঝুঁকির রাস্তায় প্রাণ হাতে চলাফেরা, ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্যামপুর |
কোথাও খানাখন্দ। কোথাও বিপজ্জনক গর্ত। কোথাও উঠে গিয়েছে পিচের আস্তরণ। বাগনান-শ্যামপুর ২৬ কিলোমিটার রাস্তার এখন এমনই হাল। এবড়ো-খেবড়ো এই রাস্তায় ক্রমাগত দুলকি খেতে খেতে ঝুঁকি নিয়ে এগোতে থাকে গাড়িঘোড়া।
এই রাস্তার উপর দিয়ে বাগনান-শিবগঞ্জ, হাওড়া-গাদিয়াড়া, গাদিয়াড়া-তারকেশ্বর, বাগনান-কমলপুর এবং ধর্মতলা-শ্যামপুর রুটের বাস চলে। প্রতিদিন কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী এই সব বাসে যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও, শতাধিক অটোরিক্সা, ট্রেকার চলে এই রাস্তায়। শ্যামপুরে রয়েছে কয়েকশো ইটভাটা। এই সব ইটভাটায় প্রচুর ট্রাক আসা-যাওয়া করে। গাদিয়াড়া পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন বহু পর্যটক আসেন বাগনান-শ্যামপুর রাস্তা ধরে। সংশ্লিষ্ট দফতরের অবহেলায় প্রাণ হাতে করে চলতে হয় সকলকে এমনই অভিযোগ নিত্যযাত্রী এবং স্থানীয় মানুষের।
অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে এ হেন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মাস ছয়েক ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাঁটুল, আন্টিলা, নুন্টিয়া, নাকোল প্রভৃতি জায়গায় রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। যাত্রীদের বক্তব্য, খারাপ রাস্তার কারণে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে ওই রাস্তায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভ্রুক্ষেপ নেই।
মাসখানেক আগেই রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে দিন সাতেক বাস বন্ধ রেখেছিলেন বাস-মালিকরা। তাঁদের অভিযোগ, সেই সময় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আরও চার দিন বাস বন্ধ রাখা হয়। বুধবার বিকেল থেকে আংশিক ভাবে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, শীঘ্রই মেরামতের কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে। উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক আশিস আচার্য বলেন, “পূর্ত দফতর (সড়ক) ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পাকাপাকি ভাবে রাস্তাটি মেরামতের কাজ করবে। তার আগে তারা গর্ত বোজানোর কাজ করছে। পূর্নাঙ্গ সংস্কারের কাজ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে বলে ওই দফতরের তরফে আমাদের জানানো হয়েছে।” রাজ্য পূর্ত দফতরের (সড়ক) হাওড়া ডিভিশন সূত্রের খবর, কাজের টেন্ডার-সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ আরম্ভ হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য ওই দফতরের গড়িমসিতে ক্ষুব্ধ। কংগ্রেসের তরফেও রাস্তাটি মেরামতের কাজ অবিলম্বে আরম্ভ করার দাবি জানানো হয়েছে। শ্যামপুরের কংগ্রেস নেতা আতিয়ার খান বলেন, “বার বার টেন্ডার করার কথা বলা হলেও আসল কাজ শুরুই হয়নি। অবিলম্বে কাজ শুরু করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” |
|
|
|
|
|