|
|
|
|
দুর্গাপুরে ছ’দিন ধরে নিখোঁজ কলেজ ছাত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যান্ডেল ও দুর্গাপুর |
একটি বেসরকারি কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র শনিবার থেকে নিখোঁজ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম সঞ্জীব আলি। বাড়ি হুগলির ব্যান্ডেলে। কলেজের বাইরে একটি মেসে তিনি থাকতেন। তাঁর বাবা, পেশায় রেলকর্মী মহরম আলি কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ব্যান্ডেলের কুলিপাড়ায় সঞ্জীব আলিদের তিনতলা বাড়ি। বাবা মহরম আলি রেলকর্মী। দাদা রাজীব চাকরি সূত্রে বাইরে থাকেন। সঞ্জীব দুর্গাপুরের রাজবাঁধে থেকে পড়াশোনা করত। তাঁর মা খুরশিদা বেগম জানান, প্রতি দিনই রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ফোনে সঞ্জীবের সঙ্গে কথা হত। গত ১৩ এপ্রিলও ওই সময়ে দু’জনের কথা হয়। খুরশিদা বলেন, “ওই রাতে সঞ্জীব জানায়, পরের দিন সকালে বাড়ি ফিরবে। কিন্তু ১৪ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত ছেলে বাড়ি না আসায় ওকে ফোন করে দেখি, মোবাইল বন্ধ। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ পাইনি।”
|
নিখোঁজ ছাত্র
সঞ্জীব আলি। নিজস্ব চিত্র। |
খুরশিদা জানান, স্বামীকে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। শুরু হয় খোঁজাখুজি। ১৫ এপ্রিল কাঁকসা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মহরম। পুলিশকে ওই দম্পতি জানিয়েছেন, ব্যান্ডেলের নিউ কাজিডাঙার বাসিন্দা, চন্দননগর সরকারি কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে সঞ্জীবের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল, যে দিন সঞ্জীবের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল, সেই দিন দুপুরে মেয়েটি এসে খুরশিদার কাছে সঞ্জীব বাড়িতে ফিরবেন কি না, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়। সে-ও জানায়, সঞ্জীবের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি সে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সঞ্জীব শেষ বার বাড়ি যান গত ৩০ মার্চ। তার কয়েক দিন আগে তাঁর দাদা রাজীব ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। ৩১ তারিখ দাদাকে বিমানে তুলে দিয়ে দুর্গাপুর ফেরেন সঞ্জীব। বৃহস্পতিবার মহরম আলি বলেন, “সম্ভাব্য সব জায়গায় পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছি। অপহরণ করা হয়েছে কি না, বুঝতে পারছি না। তবে অপহরণ সংক্রান্ত কোনও ফোন বা খবর আসেনি।” খুরশিদা বলেন, “সঞ্জীব প্রতি রাতে আমাকে ফোন করতই। ওই মেয়েটির সঙ্গে ছেলের সম্পর্ক আমরা মেনে নিতে পারিনি। শনিবার দুপুরে মেয়েটি বাড়িতে এসে বলে, সঞ্জীব ওর সঙ্গে কয়েক দিন ধরে যোগাযোগ করছে না। আমরা যেন ছেলেকে ওর থেকে দূরে সরিয়ে না নিই। মেয়েটি হঠাৎ সে দিনই এসে অত কথা বলায় খটকা লাগছে।” পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জীবের মোবাইল টাওয়ারের শেষ অবস্থান অনুযায়ী, তিনি বর্ধমানে ছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে মোবাইল বন্ধ থাকায় আর কিছু জানা যাচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের খোঁজ চলছে। |
|
|
|
|
|