জন আদালতে বিচার শুরু হল জন প্রতিনিধির। তবে রাত পর্যন্ত বিচারের কোনও ফলাফল জানা যায়নি। ওড়িশা সরকার এবং হিকাকার স্ত্রী তো বটেই, জেলবন্দি কট্টর মাওবাদী নেতা ঘাসিও আজ মানবিকতার খাতিরে হিকাকাকে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মাওবাদীদের কাছে। কোরাপুটের নারায়ণপাটনার গভীর জঙ্গলে জন আদালত বসিয়ে মাওবাদীরা আজ অপহৃত বিজেডি বিধায়ক ঝিনা হিকাকার বিচার শুরু করেছে। অন্ধ্র-ওড়িশা সীমান্তে মাওবাদীদের বিশেষ শাখার সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী নীহাররঞ্জন পট্টনায়ক। মাওবাদীদের হয়ে অধিকাংশ বড় মামলা লড়ে থাকেন পট্টনায়কই। তিনি বলেন, “সকালেই প্রজা আদালতে দাঁড় করানো হয়েছে বিধায়ককে। বিচারে অংশ নিতে আজ বহু গ্রামবাসীকে নিয়ে যায় মাওবাদীরা। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই আদিবাসী।” জন আদালতের বিচার কবে শেষ হবে এবং হিকাকা মুক্তি পাবেন কি না সে সম্পর্কে অবশ্য কোনও ধারণা দিতে পারেননি পট্টনায়ক।
এরই মধ্যে বিধায়ক মুক্তির বিনিময়ে জেলবন্দি মাওবাদীদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কেন্দ্র ও ওড়িশা সরকারের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তাদের মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতি টি এস ঠাকুর ও জ্ঞানসুধা মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ। বিধায়ককে মুক্ত করতে ২৯ জন মাওবাদীকে মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ওড়িশা সরকার নিয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রাক্তন মেজর জেনারেল গঙ্গুরদীপ বক্সী গতকাল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বক্সী তাঁর আবেদনে বলেন, সরকার মাওবাদীদের মুক্তি দিতে চাইলে তা আটকানো উচিত। কারণ, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে ওই মাওবাদীদের গ্রেফতার করেছেন। কাল বিকেল পাঁচটায় মাওবাদীদের দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়। তার পরেই অন্ধ্র-ওড়িশা সীমান্ত কমিটির এক মাওবাদী নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানান, সরকারের উপর তাঁরা আর আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই জনতার আদালতেই হিকাকার ভাগ্য নির্ধারিত হবে। |