রামপুরহাট থানার আয়াষ গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী স্বপন চৌধুরীকে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল হারাধন লেট নামে এক যুবকের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ১ জুলাই খুনের ঘটনা ঘটেছিল। ন’মাসের ব্যবধানে ঘটনায় অভিযুক্ত রামপুরহাট থানার বেলেবাড়ি মোড়লপুকুর এলাকার বাসিন্দা হারাধনকে বৃহস্পতিবার রামপুরহাট আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মানস বসু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই বছর দুপুরে আয়াষ গ্রামের বাসিন্দা স্বপন চৌধুরী বেলবাড়ি গ্রামের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া মোড়লপুকুর দিয়ে যাওয়ার সময়ে হারাধন লেটের সঙ্গে পঞ্চায়েতের কর বাড়ানো নিয়ে বচসা হয়। তার জেরে হারাধন লেট তার হাতে থাকা কাঠ দিয়ে স্বপনবাবুর মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে অচৈতন্য হয়ে পড়েন স্বপনবাবু। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে পাঠানো হয়। পরের দিন সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
৩ জুলাই স্বপনবাবুর বাবা বিশ্বনাথ চৌধুরী রামপুরহাট থানার হারাধন লেটের নামে খুনের অভিযোগ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ বছর ধরে স্বপনবাবু অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। ঘটনার দিনও জামার পকেটে রক্ত মাথা কর আদায়ের কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির ছিলেন হারাধন লেটের স্ত্রী বিশাখাদেবী ও পরিবারের সদস্যরা। বিশাখাদেবীর দাবি, “স্বামী মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতে যাব কি না বুঝে উঠতে পারছি না।” এ দিকে বিশ্বনাথ চৌধুরী ও বধূ তপতীদেবীর কথায়, “ভগবানের কাছে বিচার চেয়েছিলাম। যা ভাল বুঝেছেন তাই হয়েছে।” |