টুকরো খবর |
সিউড়িতে রাস্তা সংস্কার
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
|
৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে গার্ডওয়াল। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
পুরবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সিউড়ি পুরএলাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজে নেমেছে পুরকর্তৃপক্ষ। সিউড়ির পুরপ্রধান তৃণমূলের উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শহরের রাস্তাগুলি সংস্কারের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ রাস্তা সংস্কার করা হয়ে গিয়েছে।” তাঁর দাবি, আগামী বর্ষায় পুরবাসীকে আর জল-কাদায় নাকাল হতে হবে না। সামান্য বৃষ্টিতেই সিউড়ি শহরের খানাখন্দে ভরে থাকা রাস্তায় যাতায়াত করতে বাসিন্দারা সমস্যায় পড়তেন। সম্প্রতি শহরের মূল সংযোগকারী রাস্তাগুলি সংস্কার শুরু হওয়ায় স্বস্থি পেয়েছেন বাসিন্দারা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশন মোড় থেকে জলপান মোড়, মসজিদ মোড় থেকে এসপি বাংলো ও টিকিয়াপাড়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার হচ্ছে। সদর হাসপাতাল থেকে আরটি গার্লস স্কুল, টিনবাজার থেকে বীরভূম মহাবিদ্যালয়, জজবাংলো থেকে সুন্দরম সেলুন, বধিরদের স্কুল থেকে নূরাই পাড়া পর্যন্ত রাস্তায় নতুন করে পিচ পড়ছে। অনেক জায়গায় রাস্তার পাশে গার্ডওয়াল তৈরি করা হচ্ছে। পুরপ্রধান জানান, কয়েকটি রাস্তা কংক্রিটের তৈরি করা হবে। এ ছাড়াও ১৮টি ওয়ার্ডের গলির রাস্তাগুলিরও বর্ষার আগেই সংস্কার করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
|
জল সমস্যা
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
গরমের শুরুতেই সিউড়ি শহরে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কিছু এলাকার বাসিন্দাদের জলের জন্য ভোর থেকে পুরসভার পাইপলাইনের জলের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। জল নিয়ে অনেক জায়গায় মারামারিও হচ্ছে। পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যার কথা জানি। রাজ্য সরকার জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে।” তিনি জানান, আজ শুক্রবার এই সমস্যা নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কলকাতায় বৈঠক করবেন। উল্লেখ্য, ২ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও জলের পাইপলাইন পৌঁছয়নি, আরও ৮টি ওয়ার্ডে জলের পাইপ লাইন গিয়েছে আংশিক ভাবে। পুরপ্রধানের স্বীকারোক্তি, “শহরের ৩০ শতাংশ মানুষকে পাইপলাইনের পানীয় জল দেওয়া যাচ্ছে না।” তবে গত সপ্তাহে সিউড়িতে এসে নতুন জলপ্রকল্পের কাজ ত্বরাণিত করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়ে যান ফিরহাদ হাকিম ও সাংসদ শতাব্দী রায়।
|
প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে চার বার অনাস্থা এল রামপুরহাট ১ ব্লকের বড়শাল পঞ্চায়েতে। তার মধ্যে তিন বার প্রধানকে ও এক বার উপপ্রধানকে সররানোর জন্য। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও-র কাছে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বর্তমান কংগ্রেস প্রধান সীমা সাহার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন পঞ্চায়েতের ৬ জন সদস ( বিজেপি ১, ফব ২, সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া ২ এবং ১ নির্দল)। বিডিও শান্তিরাম গড়াই বলেন, “আইন গত দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা অনাস্থা এনেছেন ২৪ এপ্রিল তাঁদের ডাকা হবে।” প্রধান সীমা সাহা বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ভাবে বার বার অনাস্থা এনে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।”
|
চারটি অপমৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাদতা • রামপুরহাট |
পৃথক ঘটনায় কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল এক বধূ-সহ তিন যুবকের। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন--মাড়গ্রাম থানার ইদরাকপুর গ্রামের যুবক উজ্জ্বল বসু (২৫)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ বৈশাখ ওই যুবকের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। যৌতুক দেওয়া নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্যও হয়। পুলিশের অনুমান, মানসিক হতাশাগ্রস্ত হয়ে বুধবার রাতে কীটনাশক খান ওই যুবক। রামপুরহাট হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, ময়ূরেশ্বর থানার ডাবুক গ্রামের বাসিন্দা রাহুল লেট (২০), রামপুরহাটের বৈধরা গ্রামের যুবক বুধু লেট (৩০) এবং মাড়গ্রাম মাহিল্লা পাড়ার বধূ বন্দনা লেট (২০) পারিবারিক কারণে কীটনাশক খেয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
|
শিলান্যাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে, বিধায়কের উন্নয়ন তহবিল থেকে সাঁইথিয়ার বোড়ান-দক্ষিণমাঠ কাঁদরের উপর সেতু নির্মাণ হতে চলেছে। বিডিও উৎপল চক্রবর্তী বলেন, “সেতু নির্মাণ করতে ৩৮ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিধায়ক ধীরেন বাগদি তাঁর উন্নয়ন তহবিল থেকে ইতিমধ্যে ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। শীঘ্র কাজ শুরু হবে।” বৃহস্পতিবার ওই সেতুর শিলান্যাস করেন বিধায়ক ধীরেন বাগদি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোড়ান ও দক্ষিণমাঠ পাশাপাশি স্থিত দু’টি গ্রাম। কিন্তু যোগাযোগের অভাবে কাঁদরের দু’পাশের দুই গ্রামের বাসিন্দাদের অনেক ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। এ দিনই দক্ষিণমাঠে বিধায়কের উন্নয়ন তহবিল থেকে নির্মিত একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রেরও দ্বারোদঘাটন করেন।
|
গ্রেফতার দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
পালিস করে দেওয়ার নাম করে সোনা চাওয়ায় বৃহস্পতিবার দু’জন প্রতারককে গ্রেফতার করল নলহাটি থানার পুলিশ। ধৃতেরা হল অরবিন্দ সাহানি ও রবীন্দ্র সা। বাড়ি ঝাড়খণ্ড ও বিহার এলাকায়। সোনা পালিস করে দেওয়ার নাম করে সকালে নলহাটির মোস্তাফাডাঙা পাড়ায় তারা এক জনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সন্দেহ হওয়ায় বাসিন্দারা তাদের ধরে ফেলেন। পরে পাশের গ্রামের বাসিন্দারা তাদের আটকে রেখে মারধর করেন। পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।
|
বাড়িতে চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
ভরদুপুরে এক বিএসএফ জওয়ানের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটল বোলপুর থানার লায়েকবাজারে। বৃহস্পতিবার ওই চুরি হয়। সোনার গয়না, লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পরিবারের তরফ থেকে থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে বোলপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার বা ধরা পড়েনি।
|
অগ্নিদগ্ধ বধূর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ এক আদিবাসী তরুণীর। মৃতার নাম শ্রীমতি হাঁসদা (২২)। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানার লতাকাঁদা গ্রামে। বুধবার সন্ধ্যায় রান্না করার সময়ে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। |
|