স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থ সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন পূর্বস্থলীর পুরনো বাসিন্দা প্রশান্ত দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলীর পারুলডাঙা নসরৎপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে স্কুলটির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে ৩ লক্ষ টাকার চেক এ দিনই স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ভাই অশোক দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘এলাকাটি তাঁতি অধ্যুষিত। দাদাকে যতদূর চিনি ভবিষ্যতে তাঁতিদের উন্নয়নের জন্য কিছু করার প্রস্তাব এলে তিনি পিছপা হবেন না।”
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের পারুলডাঙা, নসরৎপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দীর্ঘ দিনের সমস্যা ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় স্কুলের পরিকাঠামোর অভাব। ওই স্কুলে প্রায় ৪ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। তার মধ্যে নবম শ্রেণীতে পড়েন সাড়ে ন’শো জন। এত জন ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার জন্য সাকুল্যে ২০ টি ঘর রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, কমপক্ষে আরও ছ’টি ঘর দরকার। প্রয়োজনের তুলনায় শৌচাগারের সংখ্যাও অপ্রতুল। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের চাপ এতটাই বেড়ে যায় যে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও নিয়মিত পড়াতে হিমশিম খান। স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক তথা পূবর্স্থলীর (দক্ষিণ) বিধায়ক স্বপন দেবনাথ বৃহস্পতিবার স্কুলে একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রশান্তবাবুকে আমন্ত্রণ জানান। ছাত্রছাত্রীরা সেখানে তাঁকে তাদের সমস্যার কথা জানায়। এর পরেই প্রশান্তবাবু স্কুলের উন্নয়নের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বিধায়কের দাবি, ওই স্কুলের উন্নয়নের বিস্তারিত পরিকল্পনা শীঘ্রই প্রশান্তবাবুর হাতে দেওয়া হবে। তাঁর আশা, এ ক্ষেত্রেও প্রশান্তবাবু কোনও কার্পণ্য করবেন না।
|
এই স্কুলেই দান করেছেন প্রশান্ত দাশগুপ্ত। |
পেশায় কবিরাজ প্রশান্তবাবুর ছেলেবেলার বেশির ভাগই কেটেছে পূর্বস্থলীর চুপি গ্রামে। পরে কাজের সুবাদে তিনি চলে যান কলকাতায়। দেশ বিদেশের রোগীরা তাঁর কাছে আসেন চিকিৎসা করাতে। গত দু’দশক ধরে তাঁর সাহায্যের অর্থে পূর্বস্থলীর চুপি, কাষ্ঠশালী, মাজিদা, বেলের হল্ট, নাদনঘাট, নথপাড়া, ন’পাড়া-সহ বহু জায়গায় তৈরি হয়েছে স্কুলের ভবন, গ্রন্থাগার। গ্রামে তাই অনেকেই তাঁকে ডাকেন ‘দানবীর’ বলে। |