স্কুলের ছাদ থেকে চাঙড় খসে শিক্ষিকা জখম হলেন বর্ধমান পৌর বালিকা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষিকা মাথা, কব্জি, পিঠ ও কাঁধে চোট পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। স্কুলে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রথম পর্বের পরীক্ষা চলছিল। দোতলার একটি ঘরে পরীক্ষায় নজরদারির কাজ করছিলেন মহুয়াদেবী। হঠাৎই ছাদ থেকে একটি বড়সড় চাঙড় খসে পড়ে। ভাগ্য ভাল, সেটি তাঁর মাথায় পড়েনি। আচমকা আঘাতে তিনি প্রথমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অন্য দিদিমণিরা সুশ্রূষা দিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন। পরে হাসপাতালেও পাঠানো হয় তাঁকে। ডান হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে তিনি স্কুলে ফেরেন। |
|
|
জখম শিক্ষিকা। |
এই ঘরেই দুর্ঘটনা। |
|
পরীক্ষা চলাকালীন এই ঘটনায় ছাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মধুরিমা সীট ও চতুর্থ শ্রেণির কঙ্কনা বাগচী বলেন, “আর পরীক্ষা দিতে আসব কী না ভাবছি। ফের যদি চাঙড় খসে! ” প্রধান শিক্ষিকা শ্যামলী সাহা বলেন, “দোতলার ঘরগুলিতে আর পরীক্ষা নেওয়া উচিত হবে না। কিন্তু যথেষ্ট টাকা না পেলে তো ভবন সারানো সম্ভব নয়।” প্রায় ৪০০ ছাত্রীর ক্লাস কোথায় হবে, তা নিয়েও তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন।
প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের স্কুল অন্তত ৭৫ বছরের পুরনো। স্কুলভবন সারানো দরকার। তার জন্যে প্রয়োজন অন্তত কয়েক লক্ষ টাকা। শুনেছি, মাত্র ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিল বাকি থাকায় বিদ্যুৎ দফতর বেশ কিছু দিন আগে লাইনও কেটে দিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে ছাত্রীদের সঙ্গে কষ্ট করতে হচ্ছে আমাদেরও।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি স্বপন ঘোষ বলেন, “স্কুলটির পুরনো বাড়ি সারাতে কিছু টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে বাকি সমস্যা বা চাঙড় খসে পড়ার কথা খোঁজ না নিয়ে বলতে পারব না।”
|