|
|
|
|
ছাগল নিয়ে সংঘর্ষ কংগ্রেস ও তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদাদতা • চাঁচল |
তৃণমূল সমর্থকের ছাগল ঢুকেছিল এক কংগ্রেস সমর্থকের জমিতে। তা নিয়েই বিবাদ। লাঠি, হাঁসুয়া নিয়ে দুই শরিক দলের সংঘর্ষের জেরে গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল। মালদহের রতুয়ার বিলাইমারিতে আজ সকালে ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষে জখম হন দু’পক্ষের ১০ জন। হাঁসুয়ার কোপে জখম দুই তৃণমূল সমর্থককে মালদহ সদর হাসপাতালে ও অন্য ৬ জন রতুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মালদহের এসপি জয়ন্ত পাল বলেন, “জমিতে ছাগল ঢোকা নিয়ে দু’পক্ষের ঝামেলা হয়। তদন্ত হচ্ছে। কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার বিকালে। তৃণমূল সমর্থক হাকিম আলির ছাগল ঢুকে পড়ে আসরাফুল হকের জমিতে। আসরাফুল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী। তিনি ছাগলটি আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। ওই জমিতে কোনও ফসল ছিল না। জমিতে ছাগল ঢোকা নিয়ে গোলমাল শুরু হয়। বুধবার সকালে সালিশি সভায় মীমাংসার কথা ওঠায় তখনকার মতো সমস্যা মিটে যায়। ছাগলটিকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
তৃণমূলের অভিযোগ, সালিশি সভায় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা আচমকাই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দিকে ইট ছোড়ে। তার পরে হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ করে। জখম হন ইমাম হোসেন, মহম্মদ ইসলাম, সাবের আলি, শেখ জাফর ও মহবুর হোসেন। প্রথম দু’জনকে মালদহ এবং বাকিদের রতুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলই সভায় হামলা চালাতে এসেছিল। জখম হন কংগ্রেসের এনামুল হক, জিয়াফল হক ও শেখ কাইয়ুম। তাঁরা রতুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রতুয়া-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক বলেন, “এলাকায় আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে। কংগ্রেসের অনেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এ দিন দলের সভা ছিল। তা বানচাল করতেই ছাগলকে সামনে রেখে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়।” রতুয়া-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আবদুল হান্নান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সব বাজে অভিযোগ। তৃণমূল কিছুই করতে পারছে না। তাই গোলমাল পাকাচ্ছে। এমন চললে আমাদের আন্দোলনে নামতে হবে।” |
|
|
|
|
|