|
|
|
|
দিঘি সংস্কারে পুর-উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দিনহাটা |
মঙ্গলবারের বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের ঘটনার জেরে দিনহাটা শহরের একাধিক বেহাল দিঘি সংস্কারে উদ্যোগী হল স্থানীয় পুরসভা। কয়েকটি দিঘিতে বছরভর জলের যোগান ঠিক বসানো হচ্ছে পাম্প। এলাকার বিধায়ক ও কোচবিহারের সাংসদ ওই কাজে পুরসভার পাশে দাঁড়িয়েছেন। দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান চন্দন ঘোষ বলেন, “শহরের সমস্ত জলাশয় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বাজার ও লাগোয়া এলাকার চারটি দিঘি সংস্কারের কাজ হবে। এ জন্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। তিনটি দিঘিতে বসানো হবে গভীর নলকূপ ও পাম্প। স্থানীয় বিধায়ক তাঁর উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।” দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “দিঘি সংস্কারের জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে বরাদ্দ করা হবে। কোচবিহারের সাংসদও সাহায্য করবেন। তাই অর্থের সমস্যা হবে না।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে সাতটি দিঘি বা জলাশয় রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তার মধ্যে চারটিকে সংস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল রাজমাতা দিঘি, দোলাবাড়ি দিঘি, ফুলদিঘি, গোপালনগর দিঘি। রাজমাতা, দোলাবাড়ি ও ফুলদিঘিতে গভীর নলকূপ ও পাম্প মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। পাম্পের সাহায্যে দিঘিগুলিতে বছরভর জলের যোগান ঠিক রাখা হবে। |
|
দিনহাটার দোলাবাড়ি দিঘি। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
ওই কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে দিনহাটা শহরের থানাদিঘি, মদনমোহন বাড়ি দিঘি, কলেজপাড়া দিঘি সংস্কার করা হবে। চলতি মাসে দোলাবাড়ি ও রাজমাতা দিঘি সাফাই ও সংস্কারের কাজ শুরু করে পুরসভা। কিন্তু কয়েকদিন টানা বৃষ্টির ফলে ওই কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবারের অগ্নিকান্ডের ঘটনার পরে দিঘি সংস্কারের পরিকল্পনা নতুন করে সাজানো হয়। সেখানে দিঘির চারদিকে গড়ে ওঠা দখলদারদের সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক বলেন, “শহরে দিঘি সংস্কারের কাজ আগেও হয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে আবর্জনা ফেলে সেগুলি দূষিত করা হয়েছে। এ বার তাই পুরসভাকে সচেতনতা বাড়ানোর উপরে গুরুত্ব দিতে অনুরোধ করেছি।” শহরের বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার ভোর নাগাদ দিনহাটার চওড়াহাটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বাজারের ১১টি দোকান, আটার মিল, ৫টি বাড়ি, ৪টি গুদামঘর পুড়ে ছাই হয়। প্রায় পাঁচ ঘন্টার চেষ্টায় দিনহাটা, কোচবিহার ও তুফানগঞ্জ দমকলের ৭টি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যাবসায়ীরা জানান, ওই ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বাজার লাগোয়া এলাকার জলাশয়গুলি আবর্জনায় মজে থাকায় এ দিন জলের জন্য দমকল কর্মীদের নাকাল হতে হয়েছে। এ জন্য ক্ষতি বেড়েছে। দিনহাটা মহকুমা ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাণা গোস্বামী বলেন, “কয়েক বছর পরপর চওড়াহাট বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এর পরেও বাজার ও লাগোয়া এলাকায় জলাধার তৈরি করা হয়নি। এমনকী দিঘিগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেই। দিঘিগুলি ঠিকঠাক থাকলে ক্ষতি অনেকটা এড়ানো যেত।’’ |
|
|
|
|
|