|
|
|
|
ছাগল ছাড়াতে হাজার, ফাঁড়ি ঘেরাও শামুকতলায় |
রাজু সাহা • শামুকতলা |
ভুট্টা খেতে দুই প্রতিবেশীর দুটি ছাগল ঢুকেছিল। কৃষক ছাগল দুটিকে খোঁয়াড়ে না-দিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে জমা দিয়েছিলেন। ছাগল দুটি আনতে গেলে ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ দুই মালিকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে ঘুষ চান বলে অভিযোগ ওঠায় মঙ্গলবার রাতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে ডুয়ার্সের শামুকতলা থানার ভাটিবাড়ি ফাঁড়িতে। রাতেই ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার সাউথপাড়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার শঙ্কর মজুমদারের শাস্তিও দাবি করেন তাঁরা। রাজনৈতিক নেতারা গেলে উত্তেজিত জনতা তাঁদের এলাকায় ছাড়তে বাধ্য করেন। শেষ পর্যন্ত রাত ১২টা নাগাদ ওই পুলিশ অফিসার ক্ষমা চেয়ে ছাগল ফিরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বুধবার বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার শঙ্কর মজুমদার তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “এটা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। টাকা চাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।” ছাগলের মালিক শরৎ দাস ও সুরজেন রায়ের অভিযোগ, ছাগল খোঁয়াড়ে না-দিয়ে ভুট্টা খেতের মালিক ফাঁড়িয়ে জমা দিয়েছেন জেনে রাতে সেখানে যান। তখন ফাঁড়ির পুলিস অফিসার এক হাজার টাকা করে দাবি করেন। ওই দুই কৃষক এ দিন বলেন, “একেবারে সরাসরি ঘুষ চান ওই পুলিশ অফিসার। গ্রামের লোকেদের ঘটনাটি জানানোর পরেই সকলে মিলে বিক্ষোভে নামা হয়। পুলিশ সুপারকে সব ঘটনা জানিয়ে সুবিচার চেয়েছি।” অন্য দিকে গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন ভুট্টা খেতের মালিক সদানন্দ দেবনাথ। তিনি এ দিন বলেন, “কয়েক দিন ধরে গবাদি পশু আমার প্রচুর ফসল নষ্ঠ করছিল। তাই ফাঁড়িতে ছাগল জমা দিই। এত কিছু হবে জানলে ছাগল খোঁয়াড়েই দিতাম।” সিপিএমের আলিপুরদুয়ার-২ জোনাল কমিটির সদস্য অসীম সরকার বলেন, “পুলিশ যদি ছাগল ছাড়াতেও ঘুষ চায় তা হলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন? পুলিশের এই কাজকর্মের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আমরা আন্দোলনে নামব।” |
|
|
|
|
|