টুকরো খবর
এক মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করল কংগ্রেস
পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে সংগঠন আরও জোরদার করতে লাগাতার এক মাস ধরে কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল দার্জিলিং কংগ্রেস (সমতল)। দলীয় সূত্রের খবর, আগামী ২০ এপ্রিল পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি অভিযানের সূচনা হবে বাগডোগরায়। সেখানে বিহার মোড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে জনসভা হবে। তাতে উপস্থিত থাকার কথা দুই সাংসদ দীপা দাশমুন্সি ও অধীর চৌধুরীর। থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা তথা বিধায়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। বুধবার দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকর বলেন, “জোট গড়ে আমরা বামেদের হটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছি। অথচ মানুষের কোনও কাজ করতে পারছি না। পঞ্চায়েত ভোটে পরিবর্তনকামী মানুষকে জবাব দিতে হবে। কংগ্রেসের দায়বদ্ধতা রয়েছে মানুষের কাছে। সে জন্য আমরা এক মাস ধরে নানা কর্মসূচি নিয়েছি। মানুষের কাছে যাব। কেন পরিবর্তনের পরেও মানুষকে নানা জায়গায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে সেটা ব্যাখা করব।” পাশাপাশি, নানা ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের বিষয়টিও প্রচারে তুলে ধরা হবে বলে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ২২ এপ্রিল খড়িবাড়ি ব্লক সম্মেলন করা হবে। সে দিন প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি মৌসম বেনজির নূর থাকবেন। ২৭ এপ্রিল শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে দার্জিলিং জেলা মহিলা কংগ্রেস সম্মেলন হবে। সেখানে সংগঠনের সর্বভারতীয় নেত্রী সরিতা জোশী, প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস নেত্রী মৈত্রেয়ী সাহা উপস্থিত থাকবেন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ৬ তারিখে নকশালবাড়ি ব্লক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা সাকিল আহমেদের। ১৩ মে ফাঁসিদেওয়া ব্লক কংগ্রেসের সম্মেলন। ২০ মে মাটিগাড়া ব্লক সম্মেলন হবে।

বাসরায় স্থায়ী সেতু চায় কংগ্রেস
বাসরা নদীর উপরে স্থায়ী সেতু তৈরির দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিল কংগ্রেস। ২০১০ সালে প্রবল বর্ষণে সেতুটি ভেঙে যায়। তার পরে একটি অস্থায়ী সেতু দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও বাসিন্দাদের আশঙ্কা, আগামী বর্ষায় ওই অস্থায়ী সেতুও বেহাল হয়ে পড়বে। ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হবে। কালচিনি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “বাসরা নদীর সেতু নির্মাণ নিয়ে গড়িমসি চলছে। বষার্য় অস্থায়ী সেতু ভেঙে গেলে কালচিনি ব্লকের কয়েক লক্ষ মানুষ অসুবিধেয় পড়বেন। রাজ্য সরকারের জোট শরিক হিসেবে এ দায় আমাদের উপরেও আসবে। দ্রুত বাসরা নদীর উপর সেতু নির্মানের কাজ শুরু না-হলে কালচিনি ব্লক কংগ্রেস আন্দোলনে নামবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।” পূর্ত দফতরের কাযনিবার্হী বাস্তুকার তাপস কুমার সাহা বলেন, “ইংরেজ আমলে তৈরী বাসরা নদীর উপর লোহার তৈরী সেতু ২০১০ সালে জলের তোড়ে ভেঙে যায়। বর্তমানে যানবাহন চলাচলের জন্য অস্থায়ী সেতু রয়েছে। নতুন সেতু তৈরির জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, এক দুমাসের মধ্যে নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।” তিনি জানান, ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়া ঝুলন্ত সেতু তৈরি করা হবে। নদীর দুধারে কংক্রিটের স্তম্ভের উপর থেকে স্টিলের তারের সাহায্যে সেতুটি ঝুলবে। এই সেতু নির্মাণ শেষ হতে বছর দেড়েক সময় লাগবে। হ্যামিলটনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরুন মিত্র বলেন, “ডুয়ার্সে ব্যবসার ক্ষেত্রে বাসরা নদীর সেতু গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ত দফতর কেন গড়িমসি করছে বুঝতে পারছি না।”

সম্মেলনে অভিযোগ
সিপিএমের একসময়ের কর্মী সমর্থকরা তৃনমূল কংগ্রসে যোগ দিয়ে বাসন্তীতে তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন আরএসপি’র রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী। ২০ এপ্রিল, শুক্রবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে আরএসপি-র সবর্ভারতীয় সম্মেলন শুরু হচ্ছে। বুধবার এই উপলক্ষে আলিপুরদুয়ারে এসেছেন ক্ষিতিবাবু। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে দুটি ভাগ রয়েছে। একটি লাল তৃণমূল এবং আরেকটি সবুজ তৃণমূল। লাল তৃণমূলীরা একসময় সিপিএম তথা অন্য বামপন্থীদের সঙ্গে ছিলেন। এখন তৃণমূলে যোগ দিয়ে বাসন্তী এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে দখলের জন্য আরএসপির কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। মহিলাদেরও ছাড়া হচ্ছে না।”
কাল, শুক্রবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে আরএসপি-র সবর্ভারতীয়
সম্মেলন শুরু হচ্ছে। চলছে তারই আয়োজন। ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে।
আরএসপি’র রাজ্য সম্পাদক জানান, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সুভাষ নস্করের পরিবারের উপর হামলা হয়। একজন মারা যান। বুধবার সকালেও এক আরএসপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আরও কয়েজন আরএসপি সমর্থক আহত হন। পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়। সম্মেলন উপলক্ষে দলের প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রকাশ্য সভা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই সভাটি নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন ক্ষিতিবাবু। তিনি জানান, ডুয়ার্স আরএসপি-র শক্ত ঘাঁটি হলেও এ বার বেশি জমায়েত হবে না। এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। ডুয়ার্সের চা বলয়ে সংগঠনের প্রভাব বেশ কিছুটা কমেছে। কিন্তু সম্মেলনকে সামনে রেখে দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

গণপ্রহারে নিহত বৃদ্ধ
ডাইন সন্দেহে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে ডুয়ার্সের মেটেলি থানার বাতাবাড়ি চা বাগানে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ওই খুনের ঘটনায় জনিত অভিযোগে এলাকার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রামজিৎ ওরাঁও (৬৫)। বাতাবাড়ি ফরেস্ট লাইনে তাঁর বাড়ি। ধৃত যুবক দীরপন ওরাঁও বৃদ্ধের প্রতিবেশী। ধৃতের এক বছরের ছেলে দেবরাজ সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ে। রামজিৎবাবু ঝাড়ফুঁক জানতেন। তিনি প্রায়ই দেবরাজের ঝাড়ফুঁক করতেন। সম্প্রতি রামজিৎবাবু শিশুটির ঝাড়ফুঁক করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ রামজিৎকে বাড়ির থেকে বের করে স্থানীয় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটায় এবং খুকরি দিয়ে আঘাতও করে দীরপন। জখম রামজিৎকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে প্রথমে বাতাবাড়ি চা বাগান হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখান থেকে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার সকালে রামজিতের স্ত্রী অনিতা দেবী মেটেলি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে দীরপনকে গ্রেফতার করা হয়। দীরপন অপরাধ স্বীকারও করেছে বলে পুলিশের দাবি। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিন্দম সরকার বলেন, “ধৃতের নামে ৩০৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর স্বামীকে যে ডাইন অপবাদে খুন করা হয়েছে তা মৃতের স্ত্রী লিখিত বয়ানে জানিয়েছেন।”

মন্ত্রীর সমর্থনে প্রচার শুরু যুব তৃণমূলের
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তৃণমূল কর্মীদের সামাজিক মেলামেশা করা নিয়ে যে ‘ফরমান’ জারি করেছেন, তার সমর্থনে প্রচার শুরু করে দিয়েছে জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূল। বুধবার বিকেলে জেলা যুব তৃণমুলের কার্যালয়ে সংগঠনের শহর ও লাগোয়া ব্লক নেতৃত্বদের ডেকে পাঠানো হয়। এদিনের জরুরি সভায় উপস্থিত নেতা কর্মীদের সিপিএমকে ঘৃণার চোখে দেখার আহ্বান জানানো হয়। এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রীর যে বিবৃতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে সেই বিবৃতিকেই মেনে চলার পরামর্শ এদিনের ঘরোয়া সভায় দেওয়া হয়। জেলা তৃণমুল কর্মীদের যুব নেতৃত্ব পরামর্শ দিয়ে বলেছে, সিপিএম সমর্থকরা যে সব ক্লাবে যাতায়াত করেন সেই ক্লাবে যাতায়াত বন্ধ করতে। জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সোমনাথ পাল বলেন, “খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে আমরা পুরোপুরি সমর্থন করেছি। গত ৩৪ বছরে সিপিএম যে ভাবে বিরোধী তথা তৃণমূল কর্মীদের ওপর অত্যাচার করেছে, আক্রান্ত করেছে, এবার তার পাল্টা জবাব দিতে হবে। তবে আমরা কোনও সংঘর্ষের কথা বলছি না। সিপিএমের এতদিনের পাপের শাস্তি হিসেবে তাদের সামাজিক ভাবে ঘৃণা করার নির্দেশ কর্মীদের দেওয়া হয়েছে।”

স্মারকলিপি
মহকুমা পরিষদের অফিস শহর থেকে গ্রামে স্থানান্তর সহ একাধিক দাবিতে সভাধিপতিকে স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস। বুধবার মিছিল নিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অফিসে যান কংগ্রেস সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, গ্রামের মানুষদের শহরে যাতায়াতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এই অবস্থায়, তা স্থানান্তরিত করে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হোক। মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি পাসকেল মিনজ তাদের দাবির সঙ্গে সহমতপোষণ করেন। তিনি বলেন, “আমিও চাই মহকুমা পরিষদের অফিস গ্রামে হোক। বিষয়টি নিয়ে আমার তরফ থেকে চেষ্টা করব।” পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে, কমলপুর চা বাগানে সজলধারা প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ, বাগডোগরা হাট আধুনিক, হাসপাতালের উন্নয়ন সহ একাধিক দাবি জানানো হয়। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এদিনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন জীবন মজুমদার, সুবীন ভৌমিক এবং অমিতাভ সরকার।

ভস্মীভূত বাড়ি
বিদ্যুতের মিটার থেকে আগুন লেগে আধ ঘণ্টায় পুড়ে ছারখার হয়ে গেল পুরো একটি বাড়ি। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ফালাকাটা থানার কুঞ্জনগর গ্রামে। গ্রামবাসীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বাড়িটির কিছুই আর রক্ষা করা যায়নি। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল নটা নাগাদ গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার সিংহ রায়ের বাড়িতে মিটার বক্স থেকে আগুন লাগে। সুকুমারবাবুর স্ত্রী আগুন লাগতে দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পাড়াপড়শিরা আগুন নেভাতে আসার আগেই একটি ঘর পুড়ে যায়। ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মুহূর্তে ৪টি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

নয়া কার্যালয়
হাতিঘিষায় দলের অফিস খুলল কংগ্রেস। এতদিন এলাকার একটি বাড়িতে কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল। বুধবার নিজেদের জমিতে নয়া অফিস উদ্বোধন হয়। হাতিঘিষা অঞ্চল কমিটিও নতুন করে তৈরি হয়। নয়া কমিটির সভাপতি পুননির্বাচিত হন হরিকান্ত সিংহ। বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, নকশালবাড়ি ব্লক কংগ্রেস কমিটির আহ্বায়ক পৃত্থীশ রায়, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ঘোষ-সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

সংস্কারের দাবি
শিলিগুড়ি শ্মশানের খারাপ হয়ে থাকা চুল্লি সংস্কারের দাবি নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল মঙ্গলবার গভীর রাতে। ওই রাতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। শ্মশানে দুটি চুল্লি রয়েছে। একটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। একটি চুল্লির উপরেই নির্ভর করতে হয় বাসিন্দাদের। মৃতদেহ সৎকারে দেরি হচ্ছিল দেখে সেখানে থাকা একাংশ জনতা অফিসে হামলা চালান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “খারাপ চুল্লি ঠিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.