|
|
|
|
অসমাপ্ত হলে আলুর গুদাম |
সব্যসাচী ঘোষ • মালবাজার |
৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয় করেও কম্যুনিটি হলের অর্ধেকের বেশি নির্মাণ শেষ করা যায়নি। অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ওই কম্যুনিটি হল অবশ্য পুরোপুরি পরিত্যক্ত বলা যাবে না। এলাকার ব্যবসায়ীদের একাংশ কম্যুনিটি হলের বেসমেন্ট ব্যবহার করছেন আলু রাখার গুদাম হিসাবে। অনেকে সেখানে গাড়ি রাখার গ্যারাজও তৈরি করে নিয়েছেন। এলাকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য যে কম্যুনিটি হল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল তার এমন হাল দেখে ক্ষোভ বাড়ছে ডুয়ার্সের ওদলাবাড়িতে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা দ্রুত কম্যুনিটি হলের বেসমেন্ট থেকে জবরদখল সরিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করার দাবি জানিয়েছেন। দাবিপূরণ না-হলে আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। মালবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফলিন রায় জানান, বরাদ্দ টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে কম্যুনিটি হল তৈরির জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ৩৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হলেও কাজ শেষ করা যায়নি। উন্নয়ন পর্ষদের কাছে নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। |
|
তিনি বলেন, “কম্যুনিটি হলের বেসমেন্ট জবরদখল হওয়ার ঘটনা জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি কম্যুনিটি হলের কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই ব্যবস্থা হবে।” এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওদলাবাড়িতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য কোনও হলঘরের ব্যবস্থা না-থাকায় ২০০৪ সালে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ওই কম্যুনিটি হল তৈরির পরিকল্পনা হয়। ঠিক চিল মালবাজার শহরের মতোই এখানেও ৫০০ আসনের হলঘর তৈরি করা হবে। এ ছাড়া পর্যটকদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থাও হবে। সেভাবেই পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়। মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ওদলাবাড়ি উন্নয়ন কমিটির সদস্য জীবন মিত্র বলেন, “কেন দ্রুততার সঙ্গে কাজটি শেষ হচ্ছে না তা বুঝছি না। অবিলম্বে কাজ শুরু না হলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” পঞ্চায়েত সমিতির পূর্বতন সভাপতি তথা ওদলাবাড়ির বাসিন্দা প্রশান্ত শিকদার বলেন, “যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ হয় তা দিয়ে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। প্রকল্পটিকে সরাসরি জেলা পরিষদকে হস্তান্তর করলে তারা হয়তো অবশিষ্ট কাজটিকে শেষ করতে পারবে।” মালবাজারের মহকুমা শাসক দেবযানী ভট্টাচার্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। তিনি বলেন, “কেউ যদি ব্যক্তিগত স্বার্থে নির্মাণ কাজ ব্যবহার করে তাহলে সেটিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।” |
|
|
|
|
|