|
|
|
|
দখল সরাতে পুর উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
দখলদার সরিয়ে শহর জুড়ে রাস্তা চওড়া করতে উদ্যোগী হয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। বুধবার থেকে শিরিষতলা থেকে শুরু করে বেগুনটারি, দিনবাজার, মার্চেন্ট রোড, কদমতলা, রায়কতপাড়া, পান্ডাপাড়া-সহ শহরের সবকটি জনবহুল এলাকার রাস্তার দুই ধারের অবৈধ দখলদার সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, পুরসভার তরফে শান্তিপাড়া থেকে শিরিষতলা পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারের অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আগামী রবিবার অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করবেন পুর কর্তৃপক্ষ। একইভাবে এই সপ্তাহেই অনান্য এলাকায় অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হবে।
শিরিষতলা, বেগুনটারি, কদমতলা, পান্ডাপাড়া, রায়কতপাড়া, দিনবাজারের মত জনবহুল এবং ব্যস্ত এলাকার রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে অস্থায়ী দোকান, ঘুমটি ছাড়াও পাকা নির্মাণও হয়েছে বলে অভিযোগ। তাতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বহুতল আবাসনও রয়েছে বলে অভিযোগ। এতে শহরের মূল রাস্তাগুলি ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়ে যাওয়ায় নিত্য যানজট এবং দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির মূল রাস্তাগুলিতে লেগেই রয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। |
|
উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশি প্রহরা। ছবি: সন্দীপ পাল। |
সম্প্রতি পুর কর্তৃপক্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শহর জুড়েই একসঙ্গে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই দফায় দফায় দখলদারদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ নির্মাণ পুরসভার থেকে চিহ্নিতও করে দেওয়া হয়েছে। তবু রাস্তা দখলমুক্ত হয়নি। এবারে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করা হয়েছে।” এদিন পুরসভা অভিযান নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভও দেখা গিয়েছে। দখলদার, বেআইনি নির্মাণ সঠিক ভাবে চিহ্নিতকরণ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, উচ্ছেদ্দের ক্ষেত্রে কোনও রকম বৈষম্য বা বাছবিচার করা হবে না।
এদিন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি কোকিল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী থাকায় কোনও অপ্রীতকর ঘটনা ঘটেনি। পুরসভার অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছেন জেলা ব্যবসায়ী সমিতিও। সমিতির সম্পাদক সাধন বসু বলেন, “এই অভিযান খুবই জরুরি ছিল। অবৈধ দখলের দাপটে ক্রমেই শহরের রাস্তাগুলি ঘিঞ্জি হয়ে গিয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে পুরসভার কাজকে আমরা সমর্থন করছি।”
২০০১-০২ সালে তৎকালীন সদর মহকুমাশাসক নিত্যসুন্দর ত্রিবেদীর নেতৃত্বে শহরের প্রধান রাস্তাগুলির ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় পুরসভা। মহকুমা শাসকের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহকুমা শাসকের বদলি হয়ে যাওয়ার পরে সেই অভিযান থমকে যায়। ফের দখল হয়ে যায় শহরের মূল রাস্তাগুলি। |
|
|
|
|
|