|
|
|
|
আস্থাভোটে সরলেন স্কুলের সম্পাদক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাশীপুর |
আস্থা ভোটে হারলেন কাশীপুরের কালিদহ অঞ্চল হাইস্কুলের সম্পাদক কংগ্রেসের হরেন্দ্রনাথ মাহাতো। বুধবার ওই স্কুলে আস্থা ভোট হয়। উপস্থিত ৯ সদস্যের মধ্যে তাঁর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন চারজন তৃণমূলের অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রধান শিক্ষক-সহ দু’জন স্কুল মনোনীত সদস্য। দুই শিক্ষক প্রতিনিধি অবশ্য ভোটদানে বিরত থাকেন।
হরেন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, “স্কুল পরিচালনার কাজে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বহু দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পরে প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক তথা কাশীপুরের ব্লক সভাপতি স্বপন বেলথরিয়া চাননি সিপিএমের সমর্থক প্রধান শিক্ষকের ওই দুর্নীতিগুলি প্রকাশ্যে আসুক। তা নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় দলও ছেড়েছি। এ দিন তৃণমূল ও সিপিএম যৌথভাবে আমাকে সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিল।” তাঁর আরও অভিযোগ, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসার পদ্ধতি নিয়ে বেনিয়ম হয়েছে। জেলা শিক্ষা দফতরে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত গত বছর তিনি সম্পাদক হওয়ার পরেই প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরের কাছে স্কুল পরিচালনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছেন কাশীপুরের বিডিও রাজীব ঘোষ এবং জেলা শিক্ষা দফতর।. সিপিএমের দখলে থাকা ওই পরিচালন সমিতি গত বছর দখল করে তৃণমূল। পরে স্কুল পরিচালনার কাজ নিয়ে দলের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন হরেন্দ্রনাথবাবু ও অপর এক সদস্য। এক সপ্তাহ আগে হরেন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পরিচালন সমিতির সভাপতি। বিধায়কের পাল্টা অভিযোগ, “সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে তিনি নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছিলেন। বাধা দেওয়ায় তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।” শিক্ষা দফতরের ইন্দ্রবিল চক্রের ভারপ্রাপ্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ময়ূখ মাইতি বলেন, “অনাস্থা প্রস্তাবের পদ্ধতি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|