|
|
|
|
গঙ্গাজলঘাটিতে জনশুনানি |
কারখানার বিরুদ্ধে নালিশ বাসিন্দাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গঙ্গাজলঘাটি |
কারখানা তৈরি হলেও সবুজায়নের প্রতিশ্রুতি রাখেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ। একটি কারখানার সম্প্রসারণের জনশুনানিতে এমন অভিযোগ তুললেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার গঙ্গাজলঘাটির কলগোড়ায় একটি ফেরোঅ্যালয় কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে জনশুনানি হয়। সেখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরাও ছিলেন। তাঁদের সামনেই স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল দাস, সাহেব ঘোষরা কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে মতামত জানাতে গিয়ে অভিযোগ করেন, “প্রায় বছর দশেক আগে এই কারখানা গড়ে ওঠার সময় কর্তৃপক্ষ এলাকায় সবুজায়ন ও নানাবিধ উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আদপে তা কিছুই করা হয়নি।” পরে এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রনারায়ণ দাস, মানিক ঘোষ অভিযোগ করেন, “এই কারখানার কয়েকশো মিটারের মধ্যেই আমাদের বাড়ি। কারখানা থেকে উড়ে আসা ধুলোয় বাড়িতে থাকা দুঃসহ হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রচুর পরিমাণে জল তোলায় এলাকায় জলের স্তর নেমে গিয়ে জল সংকট দেখা দিয়েছে।” গঙ্গাজলঘাঁটি থানার বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে একটি মঞ্চ গড়ে এই জনশুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। কারখানার ডিরেক্টর রামঅবতার শর্মা অবশ্য দাবি করেন, “কারখানা গড়ার সময় সে ভাবে কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। কারখানা চত্বরে আমরা অনেক গাছ লাগিয়েছি। এ ছাড়াও যে সব রাস্তা দিয়ে আমাদের গাড়ি যাতায়াত করে, সেই রাস্তা খারাপ হলে আমরাই মেরামত করি।” জনশুনানিতে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) জয়ন্ত মাইতি, বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসক অরিন্দম রায়, গঙ্গাজলঘাটির বিডিও ঊর্মি দে বিশ্বাস। জয়ন্তবাবু বলেন, “তিন মাস অন্তর কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাসিন্দাদের আলোচনায় বসতে বলেছি। কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, বৃষ্টির জল সংরক্ষণে আরও জোর দিতে হবে।” |
|
|
|
|
|