স্কুলের পরিচালন কমিটির নির্বাচনে মনোনয়ন তোলাকে কেন্দ্র করে সিপিএম ও কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটল। বুধবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের কুমারপুকুর হাইস্কুলে। ঘটনায় স্থানীয় মাখালগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের সিরাজ গাজি আহত হন। তাঁকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল শুরু হয়। ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের অভিভাবক পরিচালন কমিটি বামবিরোধী জোটের দখলে। ২৯ এপ্রিল পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা। শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন তোলা নিয়ে মঙ্গলবার ওই স্কুলে এক প্রস্ত মারামারি হয়। অভিযোগ, জোটের একদল বহিরাগত প্রধান শিক্ষককে তাঁর ঘরে আটকে রেখে লাঠি ও রড দিয়ে সহশিক্ষকদের মারধর করে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন স্কুলের সামনে সভা করছিল সিপিএম। পুলিশ জানায়, ওই সময় জোট প্রার্থীরা সমর্থকদের নিয়ে স্কুলে মনোনয়ন জমা দিতে এলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। হাসনাবাদ থানার ওসি অনুমপ চক্রবর্তী বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে সরাতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।
ডিওয়াইএফের জেলা কমিটির সম্পাদক শ্রীদীপ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা শিক্ষকদের মারধরের প্রতিবাদ জানাচ্ছিলাম। ছাত্ররাও আমাদের সঙ্গে ছিল। হঠাৎ জোটের পক্ষের লোকেরা হামলা চালায়। মাইক ভেঙে দেওয়া হয়। ছাত্রদের মারা হলে তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন প্রধান। পুলিশ এক তরফা ভাবে আমাদের মারতে এলে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।” তৃণমূলের আঞ্চলিক সম্পাদক সাদিক মোস্তাফা বলেন, “বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র তোলার শেষ দিন। সে জন্য আমরা স্কুলের সামনে গেলে পরিকল্পনা মাফিক স্কুলের গেটে তালা দিয়ে সিপিএম আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে। ওদের সঙ্গে কোনও ছাত্র ছিল না। তাই ছাত্রদের আঘাত লাগার প্রশ্নই ওঠে না।”
কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, “স্কুলের সামনে মাইক লাগিয়ে আমাদের নামে কুকথা বলা হচ্ছে দেখে মাইক বন্ধ রাখার জন্য বলতে গেলে ওরা দলবল নিয়ে প্রধানকে আক্রমণ করে।” |