এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূল এবং আরএসপি-র সংঘর্ষে গুলিতে জখম হয়েছেন এক আরএসপি সমর্থক। বুধবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর চড়াবিদ্যা পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর কুমড়োখালিতে ওই সংঘর্ষ হয়। সমীর নস্কর নামে আহত ওই যুবককে প্রথমে বাসন্তী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী ও বাসন্তীর বিধায়ক আরএসপি-র সুভাষ নস্করের অভিযোগ, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এ ভাবেই সন্ত্রাস করে এলাকা দখল করতে চাইছে তৃণমূল।” গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদের বদনাম করতেই এ সব মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে” এই ঘটনায় আরএসপি-র তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
|
 |
 |
| ঘটনাস্থলে পড়ে কার্তুজের খোল। |
গুলিতে জখম আরএসপি সমর্থক। |
|
জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “ওই ঘটনায় নিদিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ চলছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক সর্ংঘষ চলছে। মঙ্গলবার রাতে দুইপক্ষের ১২জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ৯ জন আরএসপি আর তিন জন তৃণমূল সমর্থক।
তবে বাসন্তীর চড়াবিদ্যায় আরএসপি-র উপরে তৃণমূলের হামলা নিয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামীর অভিযোগ, “সিপিএমের একসময়ের কর্মী সমর্থকরাই তৃণমূল কংগ্রসে যোগ দিয়ে বাসন্তীতে তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছে।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে দুটি ভাগ রয়েছে। একটি লাল তৃণমূল এবং আরেকটি সবুজ তৃণমূল। লাল তৃণমূলীরা একসময় সিপিএম তথা অন্য বামপন্থীদের সঙ্গে ছিল। এখন তৃণমূলে যোগ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা দখলের জন্য বাসন্তীতে আরএসপি-র কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। বাড়িঘর ভাঙচুর, লুঠপাট করছে। মহিলারাও রেহাই পাচ্ছেন না।” ক্ষিতিবাবু জানান, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সুভাষ নস্করের পরিবারের উপর হামলা হয়। একজন মারা যান। বুধবার সকালেও এক আরএসপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়। |
| পুলিশ এ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোর থেকেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং আরএসপিআরএসপি-র কর্মী-সমর্তকদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৭ নম্বর কুমড়োখালি এলাকা। অভিযোগ, আরএসপি-র পঞ্চয়েত সদস্য গফ্ফর মোল্লার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল। আরএসপি-র কর্মী-সমর্তকেরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। গুলিও চলে। গুলিতে জখম হন আরএসপি সমর্থক সমীর নস্কর। তাঁর গলায় গুলি লাগে। খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্কপ্রসাদ বাড়ুই এবং ক্যানিয়ের এসডিপিও পিনাকীরঞ্জন দাস। সুভাষবাবু বলেন, “গফ্ফর মোল্লার নেতৃত্বে কুমড়োখালি এলাকায় দলের সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছিল। সেই কারণে ওই এলাকায় সন্ত্রাস করতেই এ দিন তৃণমূলের লোকজন গফ্ফর মোল্লার বাড়ি আক্রমণ করে। তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়।” |
