গ্রীষ্মের শুরুতেই ফের জলসঙ্কট। অথচ এই জলকষ্টের মোকাবিলায় পঞ্চায়েতের তরফে বড়ঞায় কয়েক হাজার নলকূপ বসানো হয়েছিল। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের তরফে ব্লকে তিনটি পাম্পও তৈরি করা হয়। তবে আখেরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গরম পড়তে না পড়তেই আবার সেই একই দুর্ভোগ। দেখভালের অভাবে নলকূপগুলির বেশির ভাগই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। আর জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের বাসানো বড়ঞা, পাঁচথুপি ও সাটিতারার পাম্পগুলি থেকে দিনে তিন বার করে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করার কথা জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে। তবে সেই প্রতিশ্রুতিই সার। দিনে তিন বার জল সরবরাহ তো দূরের কথা, সারা দিনে এক বার কলে জল পেলেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন স্থানীয় বাসিন্দা সুরজিৎ সরকার বললেন, “কোনও দিনই তিন বার জল আসে না। ওই জল ব্যবহারের যোগ্য নয়। পরিস্রুত পানীয় জলের নামে ঘোলাটে, নোংরা জল পাওয়া যায়। সেই জল খাওয়া যায় নাকি?” স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ফিরোজ শেখ জানালেন, “নাম মাত্র জল আসে। ব্যবহারের অযোগ্য ঘোলাটে জল। এ নিয়ে আমরা বার বার পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।”
বছর চারেক ধরেই পরিশ্রুত পানীয় জলের পরিবর্তে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে ঘোলাটে জল পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাটিতারা পাম্পে মেরামতির কাজ শুরু হলেও এখনও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। বড়ঞা ও পাঁচথুপির পাম্পে কোনও মেরামতি কাজ শুরুই হয়নি এখনও। বড়ঞা-১ পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের সামসুল হক মিঞা বলেন, “জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পরিষেবা ভাল নয়। ঘোলাটে, ময়লা জল পাচ্ছেন মানুষ। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পঞ্চায়েত সমিতিকে জানিয়েছি। বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, “জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে এ ব্যাপারে আমরা অনেক বার আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বড়ঞার গোপীপুর ও রাজনগর গ্রামে কার্যত বন্ধই হয়ে গিয়েছে জল সরবরাহ। বাদ যায়নি বড়ঞা গ্রামও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামে পাইপলাইন থাকলেও মিলছে না জল। বার বার আবেদন জানিয়েও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। বড়ঞার বিধায়ক প্রতিমা রজক বলেন, “জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পাম্পগুলি সেই আশির দশকে তৈরি। সেগুলো মেরামত করা জরুরি। কিন্তু তা না হওয়ায় কল থেকে অপরিষ্কার জল পড়ছে।” জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কান্দি মহকুমা আধিকারিক সিদ্ধার্থ সরকার এই প্রসঙ্গে বলেন, “খড়গ্রাম ও সাটিতারায় পাম্প মেরামতির কাজ চলছে। বড়ঞা ও পাঁচথুপির পাম্পগুলো মেরামতের জন্যও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” |