টুকরো খবর
বাড়ির পাশেই মিলল শিক্ষকের রক্তাক্ত দেহ
নদিয়ার গোপালনগর হাইমাদ্রাসার শিক্ষক কাজী নিজামুদ্দিন মণ্ডলের (৩০) দেহ মিলল তাঁর বাড়ির কাছেই এক কলাবাগানের মধ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরের সাইহাটি গ্রামের বাসিন্দা ওই শিক্ষক কর্ম সূত্রে বেশ কিছু দিন ধরে অবস্য নদিয়ার ওই মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকাতেই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বুধবার সকালে তাঁর দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় থানারপাড়ার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধারাল অস্ত্র দিয়ে শ্বাসনালি কেটে তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশকে মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাধা দেন তাঁরা। পুলিশ কুকুর নিয়ে আসার দাবিতে দেহ আটকে অবরোধ শুরু করেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। পরে অবশ্য গ্রামবাসীদের দাবি মেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুরও নিয়ে আসা হয়। তবে তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কুকুরটি এ দিক ও দিক খানিক দৌড়দৌড়ি করে খেই হারিয়ে ফেলে। ২০০৭ সাল থেকে থানারপাড়ার গোপালনগর হাই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন নিজামুদ্দিন। পাশাপাশি কাছেই হাগনাগাড়ি এলাকায় একটি ইটভাটার ব্যবসার সঙ্গেও তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই ব্যবসায় তাঁর অংশীদার ছিলেন সমীর শেখ। তাঁর বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন নিজামুদ্দিন। এ দিন সকালে দেখা যায় তাঁর ঘরের দরজা খোলা। ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অদূরে একটি কলাবাগানের পাশে ওই শিক্ষকের দেহ মেলে। বছর ত্রিশের ভূগোলের শিক্ষক নিজামদ্দিনবাবু স্কুলে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর এক সহকর্মী আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘নিজামদ্দিনবাবু খুব ভদ্র, নম্র ও মিশুকে স্বভাবের মানুষ ছিলেন।”

গ্রামবাসীদের বাধায় তোলা গেল না দেহ
গ্রামবাসীদের বাধায় গুলিতে মৃত এক যুবকের দেহ কবর থেকে তুলতে পারল না পুলিশ। সাগরদিঘির কবিলপুর পঞ্চায়েতের ভুপেন্দ্রনগর গ্রামের মিনারুল ইসলাম (৩০) মঙ্গলবার সকালে কবিলপুর তেঘরিপাড়ায় এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখনই গুলিতে আহত হন তিনি। কী করে তাঁর গুলি লেগেছিল তা স্পষ্ট হয়নি। আহত ওই যুবককে বহরমপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়। পথেই মারা যান মিনারুল। এরপরেই তাঁর দেহ গ্রামে এনে কবর দিয়ে দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু কয়েক হাজার গ্রামবাসীদের বাধায় দেহ কবর থেকে তুলতে না পেরে ফিরে আসে। প্রশ্ন উঠছে পিস্তল কোথা থেকে এল এবং ওই যুবক কীভাবেই বা গুলিবিদ্ধ হলেন। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “জোর করে মৃতদেহ তুলতে গেলে তা নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কাতেই তা তোলা হয়নি। আপাতত থানায় একটা সুয়োমটো এফআইআর করা হয়েছে। পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।” মৃতের বাবা টিকি শেখ বলেন, “সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বন্ধুর বাড়ি যায় মিনারুল। বেলা হলেও ফিরছে না দেখে ওকে খুঁজতে ওই বন্ধুর বাড়ি যাই। সেখানেই জানতে পারি ছেলের গুলি লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

জমি বিবাদে যুবকের মৃত্যু
জমি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন এক যুবক। ডোমকলের পেচেরপারা গ্রামে এক টুকরো জমি নিয়ে ওই বিবাদ অবশ্য নতুন নয়। স্থানীয় গ্রামবাসী থেকে পুলিশ, সকলেই জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত ওই বিবাদ বেশ কয়েক বছরের পুরনো। মঙ্গলবার তার জেরেই বোমাবাজিতে মারা গিয়েছেন এজারুল শেখ (৩৫)। আহত হয়েছেন এজারুলের কাকা আব্বাস আলিও। তাঁকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিপিএম অবশ্য ওই ঘটনায় কংগ্রেসের সমর্থনপুষ্ট দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে মনে করছে। কংগ্রেস যথারীতি তা উড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশও সিপিএমের অভিযোগ মানতে চায়নি। এসডিপিও দেবর্ষি দত্ত বলেন, “ওই ঘটনার মধ্যে রাজনৈতিক রং নেই। নিতান্তই পারিবারিক গণ্ডগোল থেকে বোমাবাজি হয়েছে। তাতেই এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।” স্থানীয় ফরিদপুর মৌজায় তিন বিঘা জমি নিয়ে এজারুলের পরিবারের সঙ্গে গ্রামেরই চাঁদরুল, আজাদ শেখদের বিবাদ অনেক দিনের। এজারুলের পরিবারের দাবি ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরেই চাষ আবাদ করে আসছিলেন তাঁরা। কিছু দিন ধরে সেই জমি চাঁদরুলেরা নিজেদের বলে দাবি করতে থাকে। মঙ্গলবার গণ্ডগোলের সময়ে পুলিশ এসে দু পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেই সময়ে পুলিশের সামনেই এজারুলকে বোমা মারা হয়। এরপরে দু পক্ষই বোমার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশের শাস্তির দাবি
নিজস্ব চিত্র
একটি মেলায় মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। এই অভিযোগ তুলে পুলিশের ‘অপরাধের’ প্রতিবাদে মঙ্গলবার পথ অবরোধ ও থানায় বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। বুধবার বেলা দশটা থেকে টানা দু’ঘণ্টা অবরোধ করার পর থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান সালারের কংগ্রেস কর্মীরা।পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় এক মাস আগে এলাকার পিলখুন্ডি গ্রামে এক মেলাতে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়। তারপর ১৯ মার্চ সালার কলেজ মোড়েও এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠাকে বেধড়ক মারধর করে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনকে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই এলাকার সক্রিয় কংগ্রেস কর্মী। গ্রেফতারের পর থেকেই মারধরের অভিযোগ তুলে পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “পুলিশ অনৈতিকভাবে আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। দোষি পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে মানবাধিকার কমিশনে যাব।” জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

স্বামীকে খুনের নালিশ, আটক
স্ত্রীর দেওয়া সরবত খেয়ে স্বামীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে ধানতলার দেবীপুর গ্রামে মারা যান কার্তিক মোদক (৩৩) নামে এক ব্যক্তি। তাঁর ১১ বছরের মেয়েও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। কার্তিকবাবুর মা বিশাখা মোদক পুলিশের কাছে এই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “বৌমা আমার ছেলে ও নাতনিকে সরবতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই ঘটনা। এ দিন সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। সন্ধ্যেয় স্বামী ফিরলে তাঁকে ওই সরবত দেন দীপিকাদেবী। মেয়েটি পাশে বসেই পড়ছিল। বাবার খাওয়ার পর সরবতের বাকিটা সে খেয়ে ফেলে। অসুস্থ বোধ করায় দু’জনকেই রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কার্তিকবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “অভিযোগ হয়েছে। দীপিকা মোদক নামে ওই মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে কারাদণ্ড
এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে প্রতিবেশি রতন সরকারকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সোমেন্দ্রনাথ দাস বুধবার ওই সাজা ঘোষণা করেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী তপন দে বলেন, “গান শেখানোর নাম করে ধুবুলিয়ার রতন সরকার মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।”

অস্বাভাবিক মৃত্যু
গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র। নাম সায়ন ঘোষ (১১)। বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জের মথুরাপুরে। মঙ্গলবার রাতে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ মেলে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.