রিয়াল মাদ্রিদকে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারতে দেখে কলকাতার অনেকেই অবাক। আমি একেবারে অবাক নই। বায়ার্ন মিউনিখের খেলার গতি দেখে বরং আমার মন বলছে, বের্নাবৌ স্টেডিয়ামে নিজেদের মাঠেও রিয়াল মাদ্রিদের পারা কঠিন।
মিউনিখের ম্যাচটায় শেষ মিনিটে গোল করে বায়ার্ন ২-১ জিতেছে। কিন্তু গোটা ম্যাচটা দেখে কখনও মনে হয়নি, রোনাল্ডোরা জিততে পারে। বরং মনে হয়েছে, বায়ার্ন মিউনিখকে হারানো কঠিন। বায়ার্নের গতি, পাসিং ছিল চোখে পড়ার মতো। এই গতি এবং পাসিং ধরে রাখতে পারলে ওদের মাদ্রিদেও হারানো যাবে না।
যে কোনও দলই জেতার লক্ষ্যে এগোয় এক জন তারকাকে কেন্দ্র করে। রিয়ালে সব কিছুর কেন্দ্রে থাকে রোনাল্ডো। বার্সেলোনায় মেসি। বায়ার্ন মিউনিখে দলটা দাঁড়িয়ে রিবেরি এবং রবেনকে ঘিরে। মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ল রিবেরি। ওর প্রথম গোলটা অফসাইড বলে দাবি করেছেন মোরিনহো। আমার তো মনে হল না।
|
বায়ার্নের দুই স্তম্ভ। রিবেরি-রবেন। পিছনে সোয়াইনস্টাইগার। |
রিবেরি এবং রবেন দুই প্রান্তে। মাঝখানে গোমেজ। পিছন দিকে সোয়াইনস্টাইগার, ক্রুজ। বায়ার্ন অধিকাংশ ম্যাচটা খেলল এই পাঁচ জনের উপর ভরসা রেখে। অঙ্ক কষে। সোয়াইনস্টাইগারের গতি অতটা ভাল নয়। কিন্তু সব মিলিয়ে অনেকটা জায়গা নিয়ে খেলেছে ও। উইং চমৎকার ব্যবহার করল রিবেরি, রবেন। তাই বায়ার্নকে টেকনিক্যালি অনেক জমাট মনে হল। মারিও গোমেজ শেষ মিনিটে গোলটা করে গেল পরিকল্পনা নিয়ে খেলে।
রিয়াল মাদ্রিদ বড় বেশি ভরসা করেছিল রোনাল্ডোর ওপর। তবে আমার মনে হল, ও বল কন্ট্রোলের অভাবে মার খেল। মেসির মতো ওর বল নিয়ন্ত্রণ নেই। সমস্যাটা ওখানেই। বুঝলাম না, কেন কাকাকে ব্যবহার করলেন না মোরিনহো। কাকা থাকলে মাঝমাঠে বল ধরার লোক একটু বাড়ত রিয়ালে। দি মারিয়া শারীরিক ভাবে জার্মানদের সঙ্গে পারল না। ওজিলও হারিয়ে গেল দ্রুত। ফলে রোনাল্ডোদের জ্বলে ওঠা হল না। যে গোলটা ওজিল করল, তা অনেকটা পড়ে পাওয়া বলব। ১-১ করেও রিয়াল কেমন ঝিমিয়ে রইল। বরং বায়ার্ন চার-পাঁচ জন নিয়ে একসঙ্গে উঠে এল বিপক্ষ বক্সে।
১-২ পিছিয়ে রোনাল্ডোরা ঘরের মাঠে নামছে। ফাইনালে যেতে হলে অন্তত ১-০ জয় দরকার। বায়ার্নের সামনে পড়লে ইদানীং রিয়াল প্রতিবার গুটিয়ে যায়। সেই ধারা মিউনিখে বজায় রইল। মাদ্রিদেও মনে হচ্ছে বজায় থাকবে। |