|
দ্রোগবার গোলে
হার মেসিদের |
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য |
|
তিন বছর আগের সেই দুঃস্বপ্নের কথা ভেবে আর রাত জাগতে হবে না দ্রোগবাকে। যেই বার্সেলোনার চরম আঘাতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল প্রচারের নিষ্ঠুর আলো, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই আলোর ঝলকানিতে আবার ভেসে উঠবে দ্রোগবা।
|
দ্রোগবার গোলের শট।-গেটি ইমেজেস। |
বিরতির ঠিক আগে যে গোলেটা দ্রোগবা করল, তাতে অবশ্য আরও দু’তিন জনের সক্রিয় ভূমিকা আছে। আর প্রথমেই যার নাম এখানে উঠে আসবে, সে হল ল্যাম্পার্ড। মেসির পা থেকে ওই কিন্তু বলটা কেড়েছিল। তার পর রামিরেসের ক্রস থেকে দ্রোগবার ফটো ফিনিশ। যদিও ভালদেসের গোলকিপিং দেখে আমি একটু হতাশ। গোলটা পা দিয়ে বাঁচাতে গেল কেন, মাথায় ঢুকল না। বরং ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচানো উচিত ছিল।
চেলসির জয় কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল বার্সেলোনার রক্ষণকে। প্রথমার্ধেই যে দলের প্রধান স্ট্রাইকার তিন-চার বার মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে, সেই আনফিট দ্রোগবাকে আটকাতেও হিমসিম খেল পুওল-আলভেসরা। পিকে-র চোট অবশ্য একটা বড় ভূমিকা পালন করল বার্সার হারে। তবে অজুহাতের কোনও জায়গা নেই। গুয়ার্দিওয়ালার ডিফেন্সিভ ফাঁক ফোকর চোখ এড়াতে পারেনি। না হলে খোঁড়াতে খোঁড়াতে এক জন ফুটবলার গোল করে চলে যেতে পারে নাকি?
বল পজেশনের বিচারে দেখলে প্রচুর মাইলের পার্থক্যে এগিয়ে বার্সা। আক্রমণের ঝাঁঝও বেশি। তবে টেরির নেতৃত্বে চেলসির রক্ষণের দেওয়াল ভাঙতে পারেননি মেসি-সাঞ্চেসরা। অবশ্য সবাইকে ছাপিয়ে বুধবারের ম্যাচের আসল মহানায়ক পের চেক। চেলসির তিনকাঠির তলায় যে ফুটবলটা খেলল চেক, তা এক কথায় অসাধারণ। ম্যাচের শুরুতে সাঞ্চেসের একটা লব ক্রসবারে লেগে ফিরে আসা ছাড়া আরও দু’তিনটে সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। কিন্তু চেককে টপকাতে পারেনি।
তবে বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়াবেই। রক্ষণের ব্যর্থতায় বুধবারের ম্যাচ জেতা হল না ঠিকই, তবে ঘরের মাঠে আরও তেড়েফুড়ে নামবে মেসিরা। |