আইপিএল ফাইভ-এর অন্যতম সেরা পারফর্মার দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-এর বিরুদ্ধে ভাল কিছুর আশায় ক্রিকেটের মহান অনিশ্চয়তার উপর ভরসা রাখছেন টুর্নামেন্টের তলানিতে থাকা টিম ডেকান চার্জাস-এর কোচ ডারেন লেম্যান। “ওরা ভাল প্লেয়ার। বিশ্বমানের সব ক্রিকেটার। তবে টি-টোয়েন্টি হল তেমনই এক ফর্ম্যাট, যেখানে যে কোনও ফলাফলই ঘটতে পারে। নির্দিষ্ট সেই দিনে যে কোনও অঘটনই ঘটে যেতে পারে। যেমন আমরা দেখেছি দিল্লি বনাম মুম্বই ম্যাচে,” বলে ডেকান কোচ আরও যোগ করছেন, “মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ইনিংস খুব কম দিনই কুড়ি ওভারে অত অল্প স্কোরে লুটিয়ে পড়েছে ওই ম্যাচের মতো। আমাদেরও খুব তাড়াতাড়ি সুযোগ কাজে লাগাতে হবে এবং আমাদের আগের ম্যাচগুলোর চেয়ে অনেক ভাল বোলিং কাল করতে হবে।” বৃহস্পতিবার সহবাগের ডেয়ারডেভিল-দের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন ডেকান কোচ দাবি করেছেন, তাদের এখন ০-৩-এর বদলে ২-১ থাকা উচিত ছিল। “দু’টো খুব ‘ক্লোজ’ ম্যাচ আমরা হেরেছি। আসলে এ বারের আইপিএলের বোধহয় সবচেয়ে তরুণ দল হলাম আমরাই। যার জন্য এই মুহূর্তে লিগ টেবিলের সবার নীচে আমরা থাকলেও ছেলেদের লড়াইয়ে আমি খুশি।”
অন্য দিকে সঙ্গকারার ‘তরুণ ব্রিগেড’-এর মুখোমুখি হওয়ার আগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কোচ এরিক সিমন্সের যেন একমাত্র ভয়, নিজের দলের আত্মতুষ্টি। ঘরের মাঠ কোটলায় প্রায় সব প্রতিপক্ষেরই ঘাড় ধরে মটকে দিচ্ছেন সহবাগ-বাহিনী। কিন্তু সতর্ক ডেয়ারডেভিল কোচ বলছেন, “এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে কোনও প্রতিপক্ষকেই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।”
|
ভিসা নিয়ে সব সমস্যা মিটে গেল প্রাক্তন পাকিস্তানি অল-রাউন্ডার আজহার মাহমুদের। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের এই ক্রিকেটার ভিসা সমস্যায় এত দিন আইপিএলে খেলতে পারছিলেন না। তাঁকে ভারত সরকার প্রাথমিক ভাবে যে ভিসা দিয়েছিল, তাতে তিনি শুধু দিল্লি এবং চণ্ডীগড়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন। এখন অবশ্য তাঁকে ভারতের সব শহরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজহার নিজে আজ টুইটারে সে কথা জানিয়ে লিখেছেন, “এখন ভারতের সব শহরের ভিসা পেয়েছি। ফলে আইপিএল ফাইভে খেলার জন্য সব জায়গায় যেতে পারব।” কিংস ইলেভেন কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন, সমস্যা মিটেছে। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার এখন ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। তাঁর দু’টি পাসপোর্ট। প্রথমটি পাকিস্তানের, দ্বিতীয়টি ব্রিটিশ। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে পাকিস্তানি পাসপোর্টে ভিসার আবেদন করতে হয়। |