নীতীশের সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন |
বৃদ্ধ খুন, কিশোরীকে তুলে নিয়ে গেল ডাকাত দল |
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর জমানায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি ঘটেছে বলে যতই দাবি করুন, রাজ্যে অপরাধমূলক কাজকারবার কিন্তু আবার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশালী, সীতামঢ়ী এবং ঔরঙ্গাবাদ জেলায় বেশ কয়েকটি ডাকাতি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। খুন হয়েছেন এক বৃদ্ধ। গুলিতে জখম হয়েছেন দুই চিকিৎসক। ছুরিকাহত হয়েছেন দুই মহিলা। এ ছাড়াও ডাকাতি করতে এসে অষ্টাদশী এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বিরোধী আরজেডি এমন ঘটনায় স্বভাবতই রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর। সব মিলিয়ে নানা মহলেই প্রশ্ন উঠেছে নীতীশের ‘সুশাসন’ নিয়ে।
কাল রাতে ঔরঙ্গাবাদ জেলার জমিহর থানা এলাকার রামচন্দ্রনগর এলাকায় ডাকাতি করতে এসে এক বৃদ্ধকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। নিহতের নাম হরিবংশ সিংহ (৬৪)। ডাকাতি প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর ভাবে জখম হন ওই বাড়ির দুই মহিলা। তারপর অবাধে লুঠপাট চালায় ডাকাত দল। জখম দুই মহিলাকে পরে স্থানীয় হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবাদে এলাকার লোক আজ সকালে ৯৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ মোহন জৈন বলেন, “আজ সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য থানার ওসি জওহরলাল রায়কে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ সুপার স্বয়ং এলাকার লোকজনকে বুঝিয়ে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করেন।
বৈশালী জেলাতেও কাল রাতে পর পর তিনটি বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতি করতে এসে ১৮ বছরের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায়দুষ্কৃতীরা। দু’টি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে জেলার মহুয়া থানা এলাকার মহুয়াসিংরায় গ্রামে। চকমহম্মদপুর গ্রামে অন্য একটি বাড়িতেও তারা ডাকাতি করে। পুলিশ জানিয়েছে, কাল রাত ২টো নাগাদ দুষ্কৃতীদের একটি দল ওই গ্রামের ইন্দ্রজিৎ পাসোয়ান এবং ভরত সিংহের বাড়িতে হানা দেয়। বাড়ির লোকজনকে মারধর করে। জখম হন ইন্দ্রজিৎবাবু। যাওয়ার সময় তারা ভরত সিংহের মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও বিন্দেশ্বর রাইয়ের বাড়িতেও ডাকাতেরা হানা দিয়ে সেখানে লুঠপাট চালায় অন্য দিকে সীতামঢ়ী জেলার সদর এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে কাল রাতে জখম হন দুই চিকিৎসক। পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ রোগী দেখে বেরোনোর পরে গাড়িতে চেপে শিশু চিকিৎসক মনোজ কুমার এবং তাঁর আত্মীয় চিকিৎসক মীর ইকবাল বাড়িতে ফিরছিলেন। এমন সময় মোটরসাইকেলে চেপে দুষ্কৃতীরা দু’জনকেই গুলি করে। মনোজবাবুর আঘাত গুরুতর না হলেও ইকবালকে পটনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেন এই দুই চিকিৎসকের উপর হমলা চালানো হয়েছে তা নিয়ে পুলিশ খোঁজখবর শুরু করেছে। |