নোনাডাঙা উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির কনভেনশনে সামিল হলেন প্রাক্তন ভূমি মন্ত্রী তথা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা।
নোনাডাঙার ওই ঘটনার পিছনে সিপিএম এবং ‘শহুরে’ মাওবাদীদের ‘আঁতাঁত’ রয়েছে বলে অভিযোগ করছিল শাসক তৃণমূল এবং রাজ্য সরকার। এর আগে নোনাডাঙার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ‘মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতি’র নেত্রী দেবলীনা চক্রবর্তী। বুধবার রেজ্জাক সেখানে যাওয়ায় সরকারের ওই অভিযোগ ‘বৈধতা’ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল বলে প্রশাসনের একাংশ মনে করছে।
কনভেশনে উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে উঠে কিছু বলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা ও সিপিআইএম (এল) নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেজ্জাক বলেন, “আমি এখানে সিপিএম নেতা হিসেবে আসিনি। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাই বিষয়টি দেখে গেলাম। শনিবার যাদবপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সমাবেশ রয়েছে। যা বলার সেখানে বলব।” |
কনভেনশনে হাজির ছিলেন নকশালপন্থী সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনের বিভিন্ন নেতা। কনভেনশনে আসেননি শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল। তাঁর পাঠানো লিখিত বিবৃতি পাঠ করা হয়। বিবৃতিতে সুনন্দবাবু লিখেছেন, ‘নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে ভুমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির জমি আন্দোলনে যে রাজনৈতিক দল নেতৃত্ব দিয়েছিল সেই দলই ক্ষমতায় এসে উচ্ছেদ করছে। আমি এটা বলতে পারি, যে যায় লঙ্কায় সেই-ই হয় রাবণ’।
আসেননি সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীও। মোবাইল ফোনের স্পিকার অন করে মাইক্রোফোনে শোনানো হয় তাঁর বক্তব্য। বাধর্ক্যজনিত কারণে তাঁরা কনভেনশনে আসতে পারেননি বলে উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির তরফে ঘোষণা করা হয়। ওই এলাকায় মহাশ্বেতা দেবীর নামাঙ্কিত প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, সেখানে পুলিশের ক্যাম্প করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, নন্দীগ্রাম-জঙ্গলমহলে অভিযানের সময় স্কুলে পুলিশ ক্যাম্প রাখার প্রতিবাদ করেন তদানীন্তন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এসে তাঁর সরকারই স্কুল দখল করে ক্যাম্প করেছে। এর প্রতিবাদ করেন মহাশ্বেতা দেবীও। |