|
|
|
|
দলীয় প্রধানের অনাস্থা তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে বুধবার অনাস্থা আনলেন তৃণমূলের সদস্যরা। সিউড়ি ১ ব্লকের তিলপাড়া পঞ্চায়েতের ঘটনা। অনাস্থা আনা সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান সন্ধ্যা দাই পঞ্চায়েতের অধিকাংশ কাজেই অসহযোগিতা করেন এবং সাধারণ মানুষ ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। সে জন্য তাঁকে সরে যেতে বলা হলেও রাজি হননি। বাধ্য হয়ে অনাস্থা আনতে হয়েছে। প্রধান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সরে যেতে চেয়েছিলাম। নেতৃত্বের কথায় আর হয়ে ওঠেনি।” বিডিও বিনায়ক ঘোষ চৌধুরী বলেন, “অনাস্থাপত্র পেয়েছি। নিয়ম ৩ মে ভোটাভুটি হবে।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, তিলপাড়া পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৩। কংগ্রেস ৭, তৃণমূল ৫, সিপিএম ১টি আসন পায়। পরে কংগ্রেসের ৬ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় প্রধান হন সন্ধ্যা দাই এবং উপপ্রধান হন কংগ্রেস থেকে আসা আতাউর রহমান। বেশ কয়েক মাস আগে থেকে প্রধান পদ থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন সন্ধ্যাদেবী। কারণ, তিনি অঙ্গনওয়াড়িকর্মীর কাজ করতেন। সেখান থেকে ছুটি নিয়ে প্রধান পদে যোগ দেন। এ দিন আনা অনাস্থা প্রস্তাবে উপপ্রধান-সহ ৯ সদস্য সই করেছেন। তৃণমূলের সিউড়ি ১ ব্লক সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিংহ বলেন, “মঙ্গলবারও সব সদস্যকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। বুঝিয়ে বলেছিলাম আর কয়েক মাস পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই কটা মাস অনাস্থা আনার দরকার নেই। সকলেই সহমত প্রকাশ করেছিলেন। বুধবার শুনি অনাস্থা আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা নেতৃত্বকে জানাব। নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন।” অন্য দিকে, উপপ্রধান আতাউর রহমানের অভিযোগ, “প্রধান নিয়মিত অফিসে আসেন না। ১০০ দিনের কাজ-সহ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ থমকে যাচ্ছে।” সন্ধ্যাদেবী বলেন, “অনেক দিন আগেই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম। নেতৃত্ব করতে দেননি। চেয়েছিলাম পদত্যাগ করে অঙ্গনওয়াড়ি কাজে যোগ দিতে। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।” |
|
|
|
|
|