|
|
|
|
নানুরে গ্রেফতার দুই |
তৃণমূল কার্যালয় পোড়ানোর অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে নানুরের থুপসড়া পঞ্চায়েতের পালুদি মোড়ের ঘটনা। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “নানুরে তৃণমূলের পার্টি অফিস পোড়ানোর ঘটনায় বিরোধী পক্ষের ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তার মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”
এলাকার রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে ওই পঞ্চায়েত এলাকায় সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ২০০৩ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করেও বেশিদিন তা ধরে রাখতে পারেনি তৃণমূল-বিজেপি জোট। তৃণমূল সদস্যদের দল বদলের জেরে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে সিপিএম। ২০০৮ সালেও একই পুনরাবৃত্তি ঘটে। সেবারেও পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়েও কয়েক মাসের মধ্যেই প্রধান-সহ ৮ সিপিএম সদস্যের দলবদলে পঞ্চায়েতের নিয়ন্ত্রণ পায় তৃণমূল। ওই রাজনৈতিক পট পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিভিন্ন সময়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে খুন, জখম ও আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে। |
|
ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পালুন্দি মোড়ে খুন হন তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক সোনা চৌধুরী। ওই দিনই অর্ধমৃত অবস্থায় পালুন্দি গ্রাম থেকে আর এক তৃণমূল নেতা ভরত মাঝিকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে গোলাগুলি চলে। মৃত্যু হয় ইদ্রিস শেখ ও বাসুদেব মেটে নামে দুই সিপিএম সমর্থকের। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছিল, পুলিশের গুলিতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। সোনা চৌধুরীর মৃত্যুর কিছু দিন পরে পালুন্দি গ্রামে বেশ কিছু সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অবিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবং একই সময়ে লাগোয়া নওদা গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। পালুন্দি গ্রামটি সিপিএম প্রভাবিত হিসেবে পরিচিত। প্রায় ন’মাস আগে ওই গ্রাম লাগোয়া মোড়ে শাখা অফিস খোলে তৃণমূল। খড়ের চালের মাটির ওই কার্যালয়টি মঙ্গলবার রাতে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এক তৃণমূল কর্মীর চায়ের দোকানও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষের দাবি, “ওই এলাকায় আমাদের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে দেখে সিপিএম রাজনৈতিক আক্রোশে আমাদের কার্যালয় ও এক কর্মীর দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের নানুর জোনাল কমিটির সম্পাদক হাসিবুর রহমান বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।” |
|
|
|
|
|