গরুর দড়ির টানে ভুটভুটি হেলে যাওয়ায় ভাগীরথীতে পড়ে তলিয়ে গেল এক ছাত্র। সদ্য মাধ্যমিক দেওয়া ওই কিশোরের খোঁজ বুধবার রাত পর্যন্ত মেলেনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের পূর্বস্থলী নতুনপাড়ার ওই কিশোরের নাম বাপ্পা ঘোষ। সে পূবর্স্থলী উচ্চ বিদ্যালয়েরই ছাত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ থেকে বাবার সঙ্গে ভুটভুটিতে ফিরছিল সে। তার বাবা তুফান ঘোষ বাছুর সমেত গরু কিনেছিলেন। ভুটভুটির সঙ্গে দড়িতে বাঁধা গরুটি যাচ্ছিল সাঁতার কেটে। বাছুর ধরে বসে ছিল বাপ্পা। হঠাৎ নৌকা হেলে গেলে বাছুর নিয়েই সে জলে পড়ে যায়। বাছুরটি বেঁচে গিয়েছে। বুধবার বিকেলে ৫টি নৌকা নিয়ে পুলিশ তল্লাশিতে নামে। নবদ্বীপে একটি দেহ ভেসে ওঠার খবর মিললেও রাত পর্যন্ত তা শনাক্ত হয়নি।
এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে রবিবার অগ্রদ্বীপে গিয়েছিল বাপ্পা। মঙ্গলবার তুফানবাবুও সেখানে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। ওই আত্মীয়ের থেকে গরু-বাছুর কিনেছিলেন তিনি। ফেরার সময়ে ছেলেকেও ডেকে নেন। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁরা অগ্রদ্বীপে সাহেবনগর ঘাটে যান। প্রথম নৌকায় ভিড় থাকায় সেটি ছেড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ পরের নৌকায় ওঠেন তাঁরা। বাপ্পা, তুফানবাবু ও তাঁদের আত্মীয়-সহ নৌকায় ছিলেন সাত জন। বাপ্পার কাকা স্বপন ঘোষ জানান, ভুটভুটির ধারে বাছুর ধরে বসেছিল বাপ্পা। গরুর দড়ির হ্যাঁচকা টানে বেসামাল হয়ে যখন সে জলে পড়ে যায়, তখন ভুটভুটি দ্রুত গতিতে চলছিল। ছেলেকে জলে পড়তে দেখে তুফানবাবু চিৎকার করে ওঠেন। ততক্ষণে প্রায় ১৫ হাত এগিয়ে গিয়েছে ভুটভুটি। চিৎকার শুনে মাঝি নৌকা ফেরালে দেখা যায়, কিছু দূরে বাছুরটি হাবুডুবু খাচ্ছে। গরুর দড়িও ছেঁড়া। কিন্তু অন্ধকারে বাপ্পাকে দেখা যায়নি। সে কারণে তুফানবাবু বা আর কেউ জলে ঝাঁপাননি। কিছু ক্ষণ সেখানেই ঘুরে পাটুলির ঘাটে চলে যায় নৌকাটি। |