টুকরো খবর
ফের আগুন চামড়ার গুদামে, ছড়াল আতঙ্ক
ফের অগ্নিকাণ্ড। এ বার এ জে সি বসু রোডের একটি চামড়ার গুদামে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় দু’ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন গুদামের তিন কর্মী। ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “যথাযথ অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। দমকলের অনুমতি ছিল কি না, দেখা হবে।” গুদামের মালিকের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে এ জে সি বসু রোডে একটি তিনতলা বাড়ির দোতলায় আগুন লাগে। তার পাশেই একটি ফোটো প্রিন্টিং সংস্থার অফিস। তার এক কর্মী সুমিত পাল বলেন, “হঠাৎই দেখি চামড়ার গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।” দমকল আসার আগেই বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা আগুন নেভাতে হাত লাগান। ওই গুদামে মানিব্যাগ-সহ দামি ব্যাগ বানানো হত। সেখানকার এক কর্মীর কথায়, “দোতলা ও তিনতলায় প্রচুর চামড়া মজুত থাকে। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।” ওই ঠিকানায় কয়েকটি বড় সংস্থার অফিসও আছে। সেখানে ঢোকার রাস্তা প্রশস্ত থাকায় দমকল অল্প সময়েই আগুন নিভিয়ে ফেলতে পেরেছে বলে জানান ডেপুটি ডিরেক্টর তপনকুমার ঘোষ। স্থানীয় একটি সংস্থার এক কর্মী জানান, ২৬ মার্চ ওই ফোটো প্রিন্টিং সংস্থার অফিসে আগুন লাগে। কিন্তু কর্মীদের প্রচেষ্টায় তা নেভানো সম্ভব হয়। এ দিন আগুন নেভার পরে ওই গুদাম থেকে মজুত চামড়ার বান্ডিল সরানো শুরু হয়। তা দেখে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এত কাল যে জতুগৃহের পাশে ছিলাম, আগুন না লাগলে জানতেও পারতাম না।” দমকলমন্ত্রী বলেন, “যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা চামড়ার গুদাম ও কারখানাগুলিকে বানতলায় লেদার পার্কে পাঠানো দরকার।” এ নিয়ে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

দুই পরিচারক ধৃত
ফুলবাগানের একটি বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে ওই বাড়িরই দুই পরিচারককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম দীনেশকুমার সাহু ও সন্তোষ ঝা। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে ওই পরিচারকেরা তাদের দুই সঙ্গী-সহ গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীর উপর অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। ওই বাড়িরই তিনতলার এক গৃহবধূ লালবাজারে ফোন করে ঘটনাটি জানান। পরে এক পরিচারিকাও চিৎকার করে লোকজন ডাকেন। তবে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই দীনেশ ও সন্তোষের দুই সঙ্গী পালিয়ে যায়। অন্য দিকে, সল্টলেকের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার গ্রেফতার হল এক জন। ধৃতের নাম ভোলা সর্দার। পুলিশ জানায়, গত সপ্তাহে সি এ ব্লকের এক বাসিন্দার টাকা-গয়না ছিনতাই হয়। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা তাঁর পায়ে কাটারি দিয়ে মারে।

ফের বিভ্রাট মেট্রোয়
মেট্রোর কামরা থেকে পোড়া-পোড়া গন্ধ বেরোনোয় মহাত্মা গাঁধী রোড স্টেশনে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হল। পরে খালি ট্রেনটিকেও নোয়াপাড়া কারশেডে পাঠানো হয় মেরামতির জন্য। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে। এই ঘটনার জেরে এ দিন দমদম থেকে একটি মেট্রো বাতিল করতে হয়েছে। অসুবিধেয় পড়েন যাত্রীরা। মেট্রো সূত্রে খবর, দুপুর ১টা ১০ নাগাদ দমদমমুখী (আপ) একটি মেট্রো যখন মহাত্মা গাঁধী স্টেশনে ঢোকে, তখন চালক ট্রেনের তলা থেকে পোড়া গন্ধ পান। খবর দেওয়া হয় কন্ট্রোলে। কর্মীরা এসে পরীক্ষাও করেন। যাত্রীদের ওই স্টেশনেই নামিয়ে দেওয়া হয়। মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “সওয়া ১টা থেকে প্রায় দেড়টা পর্যন্ত দমদমমুখী ট্রেন বন্ধ ছিল। তার পরে অবশ্য আর কোনও সমস্যা হয়নি। যাত্রীদের মোট ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে।”

হাইকোর্টে বিস্ফোরণের হুমকি-ফোন
দাবিমতো টাকা না-দিলে আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিস্ফোরণ ঘটানোর হুমকি দিয়ে এক আইনজীবীর মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ একটি জঙ্গি সংগঠনের নাম করে ওই আইনজীবীর কাছে এসএমএস আসে। তাতে বলা হয়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ঘরের সামনে দাবিমতো টাকা না-রাখলে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স তদন্তে নেমেছে। হাইকোর্টের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। তবে এটা গুজব বলেই পুলিশের অনুমান।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
বিধাননগরের মোল্লার ভেড়ির কাছে মঙ্গলবার বিকেলে পথ দুর্ঘটনায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুমিত সর্দার (৬৫)। রাস্তায় ধারেই বসে ছিলেন বিধাননগরের সর্দারপাড়ার ওই বাসিন্দা। এক মোটরবাইক চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। মোটরবাইক চালককে আটক করেছে পুলিশ।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.